Cow Smuggling Case: কাকভোরেই মাস্ক আর চশমা পরে আদালতে ঢুকলেন গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত আবদুল লতিফ
Cow Smuggling Case: এ দিন, কার্যত ভোররাতেই লতিফ ঢুকে পড়ে আসানসোল সিবিআই আদালতে। কালো টুপি,কালো চেক জামা,জিন্সের প্যান্ট,মুখে কালো মাস্ক,চোখে চশমা পরে আদালতে হাজিরা দেন তিনি।
আসানসোল: সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে আসানসোলে সিবিআই আদালতে (Asansol Court) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। সেইমতো বৃহস্পতিবার আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ (Abdul Latif) হাজিরা দিয়েছেন। এ দিন, কার্যত ভোররাতেই লতিফ ঢুকে পড়ে আসানসোল সিবিআই আদালতে। কালো টুপি,কালো চেক জামা,জিন্সের প্যান্ট,মুখে কালো মাস্ক,চোখে চশমা পরে আদালতে হাজিরা দেন তিনি। আদালতে আবদুল লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কথোপকথন এত নজরে:
শেখর কুন্ডু (আবদুল লতিফের আইনজীবী): সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি আজ আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন।
রাজেশ চক্রবর্তী (বিচারক): আত্মসমর্পণ কোথায় ? তিনি তো হাজিরা দিতে এসেছেন। আদালতের চোখে তিনি তো পলাতক।
শেখর কুন্ডু (আবদুল লতিফের আইনজীবী): আদালত থেকে ওনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
রাজেশ চক্রবর্তী (বিচারক): আপনারা কী করতে চান বলুন ?
শেখর কুন্ডু (আবদুল লতিফের আইনজীবী): পার্সোনাল বন্ডে আবেদন করতে চাই
রাজেশ চক্রবর্তী (বিচারক): এই মামলায় পার্সোনাল বন্ড নয়, বেল বন্ডে আবেদন করতে পারেন। তবে লতিফকে সিবিআই কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তা জানতে হবে।
(এরপর সিবিআই এর কাছে বিচারক জানতে চান)
রাজেশ চক্রবর্তী (বিচারক): আপনারা ওনাকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন ?
সুশান্ত ভট্টাচার্য (গরুপাচার মামলার আইও) : আমরা ওনাকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। তদন্তে ওনার সহযোগিতা আশা করব।
শেখর কুন্ডু (আবদুল লতিফের আইনজীবী): আমরা সহযোগিতা করতে রাজি। প্রয়োজনে এখন থেকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে।
যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আগামী ৪ মে পর্যন্ত সুরক্ষা করচে আছেন লতিফ। তাই তাঁকে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগ্রহী। দুপক্ষের শুনানির পর পরবর্তী শুনানি স্থগিত রয়েছে।