Durgapur:বাড়ি-গাড়ি থাকা সত্ত্বেও ‘বঞ্চিতের’ মিলেছে অভিষেকের টাকা, তৃণমূল বলছে ভুয়ো খবর
Durgapur: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন সুকুমার সাহা। তাঁর স্ত্রী কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। তাঁকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে কয়েকদিন আগে। দুর্গাপুরের কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য প্রিয়াঙ্কা সাহার স্বামী সুকুমার সাহার হাতে কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ১০০ দিনের বকেয়া টাকা বাবদ ২০০০ টাকা তুলে দেন
বাড়ি রয়েছে, গাড়ি রয়েছে, তারপরও মিলেছে একশো দিনে কাজের টাকা! এমন অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রাতে সামিল হয়েছিলেন তিনি। বিরোধীদের বক্তব্য, নিজেদের কর্মীকে ২০০০ টাকা দিয়েছে তৃণমূল। ওই ব্যক্তি দুর্গাপুরের কাঁকসার বাসিন্দা সুকুমার সাহা। তবে তৃণমূলের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। একাংশ মিডিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।
কী নিয়ে বিতর্ক?
১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন সুকুমার সাহা। তাঁর স্ত্রী কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা বলে জানা দিয়েছে। তাঁকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে কয়েকদিন আগে। দুর্গাপুরের কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য প্রিয়াঙ্কা সাহার স্বামী সুকুমার সাহার হাতে কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ১০০ দিনের বকেয়া টাকা বাবদ ২০০০ টাকা তুলে দেন। সেই ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরালও হয়। এরপরই ময়দানে নামে বিজেপি। নেতৃত্বের অভিযোগ, সুকুমার সাহার বাড়ি আছে, গাড়ি আছে, আবার মলানদিঘি মোড়ে একটি কসমেটিকের দোকানও রয়েছে। তাহলে তিনি কেন টাকা পেলেন? অথচ অনেক গরিব অসহায় মানুষ আজও টাকা পাননি।
তৃণমূল কী বলছে?
তৃণমূলের দাবি, সুকুমার সাহা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে একটি মুদি দোকান চালান। সরকারি নথি অনুযায়ী, সুকুমারের বাবা সামন্ত কর সাহাকে ২০০৭ সালের ৭ জুলাই একটি জব কার্ড দেওয়া হয়েছিল। এই জব কার্ডে সুকুমার সাহা সহ পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই জব কার্ডের অধীনে ২০১৯ সালে ২২ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১৩ জুলাই তাঁর কাজ করার প্রমাণও রয়েছে। বাংলার অন্যান্য শ্রমিকদের মতো তাঁরও মজুরি আটকে রাখা হয়েছে।
সুকুমার নিজে কী বলছেন?
“এখনের মতো আমার আর্থিক অবস্থা আগে এই রকম ছিল না। প্রায় দু’বছর আগে পরিবারে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আমাকে MGNREGA কর্মী হিসাবে নাম নথিভুক্ত করতে হয়েছিল। আমি আমার ন্যায্য মূল্য পাইনি। তাই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার নিজের মাটির বাড়ি। টিনের ছাদ সেখানে। তবে আমি আমার মামার বাড়িতে থাকি। সেই ছবিই মিডিয়া ভাইরাল করছে।”
অন্যদিকে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কাঁকসা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভবানিপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বিরোধীরা কার্যত গন্ডমূর্খ। কিছু না জেনে বুঝেই হঠাৎ করে কিছু একটা বলে দিলেই হল।” গোটা ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যে দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে আন্দোলন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলেনে যোগ দিয়েছিলেন বহু জব কার্ড হোল্ডার। অভিষেক বঞ্চিতদের নিজের বেতন থেকে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা পূরণ করছেন। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এই বিতর্ক।