AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kali Puja 2021: কালী হয়েও তিনি শ্বেতশুভ্রা, কুলটির এই দেবী রামকৃষ্ণের স্বপ্নে এসেছিলেন…

Paschim Bardhaman: কুলটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের লাল বাজার এলাকায় দেবী ফলহারিণী কালী মূর্তি পূজা হয়। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা এবং পূজারী মধুময় ঘোষ। তিনি বছর ১৫ আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেন।

Kali Puja 2021: কালী হয়েও তিনি শ্বেতশুভ্রা, কুলটির এই দেবী রামকৃষ্ণের স্বপ্নে এসেছিলেন...
কুলটির কালী, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 12:14 AM
Share

পশ্চিম বর্ধমান: পুরাণ মতে দেবী কালী হলেন মহামায়ার কালিকা শক্তিরূপ। অসুরদের অত্যাচারে ও মানব সমাজের কান্না হাহাকার দেখে মহামায়া ভয়ঙ্কর ক্রোধ ধারণ করেন। সেই সময় তার শরীর থেকে তীব্র জ্যোতি বের হতে থাকে তখনই কালো রূপ ধারণ করেন মহামায়া। মায়ের এই শ্যামা রূপই পূজিত হন সর্বত্র। কোথাও মায়ের রং কালো কোথাও কৃষ্ণবর্ণ অর্থাৎ নীল। কিন্তু, কুলটি লালবাজারে ফলহারিণী কালীর রং শ্বেতশুভ্র বা সাদা। মা কালী (Kali Puja ) এখানে সাদা রূপে পূজিতা হন।

দেবীর প্রতিষ্ঠাতা এবং পূজারী মধুময় ঘোষ  স্বপ্নাদেশ পেয়ে এরূপে কালীর পুজো শুরু করেছেন। ২০০৫ সাল থেকেই প্রথম শুরু হয় শ্বেতশুভ্র রূপে কালীপুজো। এইরূপে ভবতারিণী প্রথম দর্শন দিয়েছিলেন সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে। তিনিও স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছেন। তবে কালীর এমন সাদা রূপের আরাধনা, সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়না এই বাংলার বুকে।

কুলটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের লাল বাজার এলাকায় দেবী ফলহারিণী কালী মূর্তি পূজা হয়। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা এবং পূজারী মধুময় ঘোষ। তিনি বছর ১৫ আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেন। তিনি জানিয়েছেন, দেবী কালিকা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিত্য পূজা করার জন্য। আর দেবী, এইরূপ আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত পুজো নিয়ে আসছেন কুলটির ফলহারিণী কালী। পাশাপাশি গ্রামের মানুষও দেবী কালিকার সাধনায় মেতে ওঠেন। প্রত্যেক অমাবস্যায় জাঁকজমক সহকারে হয় পুজো। স্থানীয় মানুষজনও সেই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠাতার বাড়ির পাশেই এক চিলতে মন্দিরে পুজো নেন কালীসাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে দর্শন দেওয়া ভবতারিণী।

ভবতারিণীর এই মন্দিরে সম্পূর্ণ প্রস্থর নির্মিত মূর্তি রয়েছে দেবীর। পাশের জেলা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া থেকে মূর্তিটি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেই মূর্তির নিত্য পুজো হয়। প্রতিষ্ঠাতা মধুময় ঘোষ জানিয়েছেন, স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই তিনি বাঁকুড়ায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তিনি মায়ের মূর্তিটি পান এই রূপেই। তাই সেই রুপেরই আরাধনা শুরু করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে মধুময় ঘোষ বলেন, “পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একমাত্র এখানেই রয়েছে সাদা রংয়ের কালীমূর্তি। বাংলা জুড়ে সাদা রংয়ের কালীমূর্তি বিশেষ দেখতে পাওয়া যায় না। পাশের জেলা বাঁকুড়া একটি জায়গায় এই রূপে কালীপুজো হয়। তবে কুলটির ফলহারিণী কালী জেলার একমাত্র সাদা রূপের কালীপুজো। এই দেবী একইসঙ্গে অসুরদলনী ও অন্যদিকে রক্ষাকর্ত্রীও।”

আরও পড়ুন: Kali Puja 2021: উলঙ্গ হয়ে কাঁটার আসনে বসে এই শ্মশানকালীর আরাধনা করেন বৈষ্ণব পুরোহিত