Durgapur Child News: ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি একাধিক শিশু, তুমুল বিক্ষোভ দুর্গাপুর হাসপাতালে
Durgapur: অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিশু।
দুর্গাপুর: বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল বহু শিশু। এরই মধ্যে এল খারাপ খবর। শিশুদের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিশু। আজ দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে ভরতি শিশুদের অসুস্থতা বেড়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শিশুদের পরিজনরা।
জানা গিয়েছে, এই মুহুর্তে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৪৫ জন শিশু ভরতি রয়েছে। যার মধ্যে গুরতর অসুস্থ ১৫জন শিশু। এক শিশুর মা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, তাঁর শিশুর হাতে চ্যানেল করা ছিল। সেই চ্যানেলে দেওয়া হয় ভুল ইঞ্জেকশন। সেই ইঞ্জেকসন দেওয়ার পরই অসুস্থ হতে শুরু করে শিশুটি। শুরু হয় খিঁচুনি। শুধু সেই বাচ্চাটিই নয় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ শিশু।
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন,”শিশুদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা যেভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছেন এতটাও চিন্তার বিষয় নয়।”
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিউটাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন করায় কোনও উত্তর দেয়নি হাসপাতাল সুপার ও চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আজও প্রকাশ্যে আসে দুই শিশুর মৃত্যু। অজানা জ্বর প্রাণ কাড়ে তাদের । এই নিয়ে তিনদিনে তিনটি শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল সেখান থেকে।
সূত্রের খবর, উত্তরঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় এক মাস তেরো দিনের সাজিদ আলম। গতকাল সন্ধে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। এরপর আজ সকালে ফের আর এক শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ওই শিশুটি শিলিগুড়ি প্রধান নগরের বাসিন্দা। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গিয়েছে সে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। ওএসডি সুশান্ত রায় জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গে ০-৩ বছরের শিশুদের জ্বর বাড়ছে। আগামী পুজো অবধি এইরকম পরিস্থিতি চলবে। এখানে খামতি রয়েছে অভিভাবকদেরও। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে স্যানিটাইজ় করছেন না তাঁরা। ফলে জ্বরের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গে পর্যাপ্ত শিশু চিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে। রয়েছে পর্যাপ্ত বেড।
এদিকে,গত ২২ সেপ্টেম্বর জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু হয় এক শিশুকন্যার। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।এর আগেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজে মোট ৩জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় ছিল জলপাইগুড়ি ও মালদার শিশু। বুধবারের পর সেই তালিকাতে যোগ হল দার্জিলিঙের নামও। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটি শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Maldah Crime: সারা শরীর জুড়ে দগদগে ঘা, রক্ত বেরোচ্ছে! দুই মেয়ের মা হওয়ার মাশুল গুনল বাইশের বধূ