Saigal Hossain: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গলকে হেফাজতে পেতে চায়, ইডির আবেদন ফেরাল আদালত
Saigal Hossain: আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনে। তাঁর জামিনের আবেদন আগেই খারিজ করে দেয় আদালত।
আসানসোল: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকে হেফাজতে চেয়ে আসানসোল সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হল ইডি। মঙ্গলবার ইডির দুই আইনজীবী সাক্ষাৎ করেন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে। সূত্রের খবর, ইডির আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। জানা গিয়েছে, ইডিকে বিচারক পদ্ধতি মেনে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ, সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লি সিটি রাওতার আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আইনমতে ওই আদালতে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আরও উচ্চতর আদালতে যেতে হবে ইডিকে। আদালতের রায় ইডির পক্ষে গেলে তারপর পদ্ধতি মেনে ইডির নিজস্ব আদালত অর্থাৎ ব্যাঙ্কশাল আদালতে যেতে হবে । সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির আবেদন গ্রহণ করল না সিবিআই আদালত।
আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনে। তাঁর জামিনের আবেদন আগেই খারিজ করে দেয় আদালত। ১০০ দিন কাস্টডিতে থাকার পরও কেন জামিন দেওয়া হচ্ছে না ? চার্জশিট দেওয়ার এতদিন পরেও কেন ইনভেস্টিগেশন এখনও শেষ হয়নি, আদালতে সওয়াল করেছিলেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। তিনি বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন, এতদিন পরেও চার্জশিটের কপি তাঁদের হাতে দেয়নি সিবিআই।
অভিযোগ তোলেন, দিনের পর দিন জেলে আটকে রেখে এভাবে তদন্ত করা যায় না। সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার অবশ্য পাল্টা বলেছিলেন, সায়গল প্রভাবশালী। বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ লোপাট হতে পারে। তদন্তে আরও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে এবং সংশোধনাগারে থাকাকালীন সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বহু নথি জমা দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।