‘হার স্বীকার করেছি, তবু কেন অশান্তি?’ মমতাকে আবেদন অগ্নমিত্রার
"আমরা তো হার স্বীকার করে নিয়েছি। তবুও আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা, বাড়িতে হামলা, লুঠপাট ও আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।''
আসানসোল: ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ফোন করেন রাজ্যপাল ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)কে। এদিকে আসানসোলে একের পর এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর কাছে আবেদন জানালেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। তাঁর কথায়, আমরা হার তো স্বীকার করে নিয়েছি। তবু কেন এই সন্ত্রাস!
সোমবার গভীর রাতে রানিগঞ্জে দেবাশিষ চট্টোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আহত হন বিজেপি কর্মী-সহ ও পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার আক্রান্তদের দেখতে যান অগ্নিমিত্রা। সেখা থেকে সন্ত্রাস বন্ধের জন্য মমতাকে পদক্ষেপ করার আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি নিজের দলের কর্মীদেরও সংযত থাকার বার্তা দেন।
অগ্নিমিত্রার কথায়, “আমরা তো হার স্বীকার করে নিয়েছি। তবুও আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা, বাড়িতে হামলা, লুঠপাট ও আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।”
উল্লেখ্য, রানিগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য্য পাড়ায় বিজেপি কর্মী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়ি মশাল জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির বিছানা থেকে যাবতীয় আসবা বপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাড়ির সদস্যদের দাবি, বিজেপি সমর্থক বলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মহিলা সদস্যরাও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাননি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: স্মৃতি ফেরাল নিমতাকাণ্ডের! আবারও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ গেল ৮০ বছরের শোভারানির
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই অশান্তিতে তাঁদের কোনো হাত নেই। এর পিছনে রয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।