Mamata on GTA: ‘অনেক প্ররোচনা, অশান্তি’ সত্ত্বেও পাহাড়ে ভোট শান্তিপূর্ণ, আসানসোল থেকে জয়ের শুভেচ্ছা মমতার
GTA: জোটের নিরিখে এই ফলাফল যে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণে আগামিদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তার ইঙ্গিতও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।
আসানসোল: জিটিএ’র ফলাফল নিয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্ররোচনা, অশান্তি সত্ত্বেও পাহাড়ে গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ (GTA)-এর ভোট শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে হয়েছে। বুধবার দুর্গাপুরে জনসভা থেকে ভোটের ফলাফলের জন্য পাহাড়বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমনটাই বলেন মমতা। তিনি জানান, অনীত থাপার দলের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়েছিল। জোটের নিরিখে এই ফলাফল যে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণে আগামিদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তার ইঙ্গিতও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক প্ররোচনা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে এখন শান্তি ফিরে এসেছে আমরা খুশি। নির্বাচন পদ্ধতি শুরু হয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। শান্তিপূর্ণভাবে পাহাড়ের মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন। এত শান্তিপূর্ণ ভোট, এত সুন্দর অংশগ্রহণ। ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অনীতের দল পেয়েছে ২৭ আসন। আমাদের সঙ্গে অনীতদের জোট হয়েছিল। আমরা মাত্র ১০ আসনে লড়েছিলাম। আমরাও ৫ পেয়েছি। অর্থাৎ ৪৫ মধ্যে মাত্র ৮টা বিরোধীরা পেয়েছে। বাদবাকি সবটাই আমাদের জোট পেয়েছে। খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সকলকে শুভেচ্ছা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকেও শুভেচ্ছা।”
এদিন জিটিএ’র মোট ৪৫ আসনে ভোট হয়। মোট ২৭৭ জন প্রার্থী ছিলেন। অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BJPM) পেয়েছে ২৬টি। হামরো পার্টি পেয়েছে ৮টি। তৃণমূল পেয়েছে ৫টি আসন। নির্দল পেয়েছে ৬টি। অন্যদিকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে ২২টি আসনের মধ্যে ১৯টি গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল। বাকি তিনটি ত্রিশঙ্কু। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৬৬টি আসন। এরমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৫৪টি, বিজেপি পেয়েছে ১০টি, নির্দলের দখলে ২টি। মহকুমা পরিষদে মোট ৯টি আসনের ৮টি পেয়েছে তৃণমূল। ১টি বিজেপি।
জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল শুরু হয় পাহাড়ে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রথম থেকেই এই ভোট চায়নি। জিটিএ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরু। চিঠি লেখেন সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও। চিঠিচাপাটিতে কাজ না হওয়ায় অনশনে বসেন বিমল গুরুং। ১০৩ ঘণ্টার টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। একটা সময় জিটিএ ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যদিও শাসকদল জানিয়েছিল, ভোট হবেই। সেই ভোটেরই ফল ঘোষণা হল বুধবার।