Monalisa Das: মোনালিসার ‘দাপট’ ভাঙার পণ বামেদের, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের জোরাল প্রতিবাদ

DYFI: মীনাক্ষীর বক্তব্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিক্ষা মোনালিসা দাসের মতো মানুষের কাজকর্ম, নজরুলের নামের অমর্যাদার সমান। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাই স্মারকলিপি দিতে আসা।

Monalisa Das: মোনালিসার 'দাপট' ভাঙার পণ বামেদের, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের জোরাল প্রতিবাদ
মোনালিসা দাস (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 11:11 PM

পশ্চিম বর্ধমান: পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর আরও বহু নাম উঠে এসেছে তাঁকে কেন্দ্র করে। এরকমই একজন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মোনালিসা দাস। অভিযোগ, এই মোনালিসা নাকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিখিত উপাচার্য। তাঁর অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চুলও এদিক ওদিক হয় না। সেই মোনালিসার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাল বাম ছাত্র যুব। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হয়। অভিযোগ, এদিন মীনাক্ষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আটকে দেওয়া হলে পাল্টা তাঁরা গেটের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। লক্ষ্য, কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া।

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোটা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, বলার নয়। স্কুলে উৎসশ্রীতে যারা বদলি করছেন, প্রত্যেকে অস্বচ্ছতায় মোড়া। স্বজনপোষণ আর ঘুষ। মেধা বাদ। আমরা এটাকে শুধুমাত্র চুরি হিসাবে গণ্য করছি না। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়ার জন্য সব চলছে।” তিনি বলেন, রাজ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে, তা তাঁরা ভাঙবেন।

মীনাক্ষীর বক্তব্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিক্ষা মোনালিসা দাসের মতো মানুষের কাজকর্ম, নজরুলের নামের অমর্যাদার সমান। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাই স্মারকলিপি দিতে আসা। আগাচ্ছা পরিস্কার করতেই হবে। বেশ কয়েকজন অধ্যাপিকার নাম নিয়ে অভিযোগ জানান বাম নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, অযোগ্যতার ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সরাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে, তিনি স্পষ্ট জানান, এ বিষয়ে যা বলার রাজ্যস্তরের নেতারাই বলবেন।

মোনালিসা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি কলেজ সার্ভিস কমিশনে অনেকের চাকরির সুপারিশ করেছেন। অভিযোগ, যোগ্য প্রার্থীদের জায়গায় রীতিমতো বিক্রি হয়েছে পদ। অভিযোগ, পিএইচডি করে বসে রয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা, ওদিকে এমএ করেই অধ্যাপনার সুযোগ মিলেছে। মোনালিসার প্রাক্তন সহকর্মীও এ নিয়ে মুখ খোলেন। যদিও মোনালিসা এসব অভিযোগ অসত্য বলেই দাবি করেছেন।