Paschim Medinipur: গতকালের পর ফের, দাসপুরে ক্রমাগত বাড়ছে আন্ত্রিকে আক্রান্তের সংখ্যা
Waterborne Disease: গ্রামের মানুষ নিশ্চিত জল থেকেই আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়়িয়েছে।
দাসপুর: দাসপুরে (Dashpur) আন্ত্রিকের প্রকোপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ পেরোল। স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক অনুমান পুজোর প্রসাদে বিষক্রিয়া থেকেই এই ঘটনা। কিন্তু গ্রামের মানুষ নিশ্চিত জল থেকেই আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়়িয়েছে। আক্রান্তরা সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলু পাড়ার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
দাসপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ঘোড়ই। তিনি আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি পৌছে কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। নতুন করে আক্রান্ত আরও এক শিশু। ঘটনাস্থানে পৌঁছেছেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মদক্ষ শ্যামপদ পত্র।
স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক অনুমান কালী পুজো থেকে ভাইফোঁটা কয়েকদিন ধরে একাধিক উৎসবের জেরে কোনওভাবে খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এমনটা হতে পারে। তবে স্থানীয়দের দাবি কালী পুজোর আগে থেকেই তাঁদের পাড়ায় এই সমস্যা,শুধু এই পাড়া নয় এমন বমি,পায়খানার কমবেশি সমস্যা পাড়ার বাইরেও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন দিয়ান জানাচ্ছেন,পাড়ার প্রায় প্রত্যেকেই পানীয় জল হিসেবে সজলধারার জল ব্যবহার করেন। তাই এই জল থেকেই এই সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান পাড়ার প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ জন অসুস্থ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাড়িতেই স্থানীয় চিকিৎসক ডেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁর দাবি সজল ধারার এই জল পরীক্ষা করা হোক। তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ঘোড়ই বলেন, “সরকারিভাবে ওই পাড়ার দুজন বর্তমানে দাসপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকার প্রায় ১৮ থেকে ২০ জনের মধ্যে আন্ত্রিকের সমস্যা রয়েছে। এলাকার পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ত্বতত্তাবধানে চিকিৎসকদের এক বিশেষ টিম আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে পানীয়জল ফুটিয়ে পান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের উৎস স্থলে হ্যালোজেন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে।”
দাসপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ঘোড়ই বলেন, “বর্তমানে অবস্থা অনেকটাই আয়ত্বের মধ্যে। আক্রান্তদের যা উপসর্গ তা আন্ত্রিকের সাথেই মিল,তবে খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।” সমস্যা বুঝলেই সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে যেতে অনুরোধ জানান তিনি ।
আরও পড়ুন: Delhi Encounter: দিল্লি এইমসের সামনে গুলির লড়াই, আহত এক দুষ্কৃতী, উদ্ধার অস্ত্র