Ghatal: ‘রাজ্য-কেন্দ্র কোনও সরকারই দেখে না’, রাগে-অভিমানে ফুঁসছে গ্রামের মানুষ
Ghatal: ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে এই গ্রাম। এখানকার বাসিন্দা মিলন পাত্র বলেন, "ঝড় এলেই ছেলে বগলে নিয়ে কার পাকা বাড়ি আছে খুঁজতে বেরোই। হাতে পায়ে ধরি একটু যদি থাকতে দেন। ঝড়ও বেরিয়ে যায়, ঝড়ের মতো প্রশাসনের লোকেরাও বেরিয়ে যায়। তাদের আর এ গ্রামের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই।"
ঘাটাল: ঝড় বৃষ্টি এলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পরে ঘাটাল ব্লকের পরামানিকপাটি গ্রামের বাসিন্দাদের। খোঁজ পড়ে কার পাকা বাড়ি আছে, কে দুর্যোগের রাতে ঠাঁই দেবে। অসহায়তায় আপাতত ফুঁসছে গ্রাম। তাঁদের অভিযোগ, ভোট এলে নেতাদের আনাগোনা বাড়ে। কিন্তু দুর্যোগ এলে ফিরেও দেখে না কেউ।
ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তাণ্ডবে নাজেহাল ঘাটালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনিই বৃষ্টি হলে ঘাটালের উপর দিয়ে যে কী চলে, তা কম বেশি সকলেই জানে। তার উপর আবার ঝড়ের দাপটে ত্রস্ত পরামানিকপাটি গ্রামের লোকেরা।
ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে এই গ্রাম। এখানকার বাসিন্দা মিলন পাত্র বলেন, “ঝড় এলেই ছেলে বগলে নিয়ে কার পাকা বাড়ি আছে খুঁজতে বেরোই। হাতে পায়ে ধরি একটু যদি থাকতে দেন। ঝড়ও বেরিয়ে যায়, ঝড়ের মতো প্রশাসনের লোকেরাও বেরিয়ে যায়। তাদের আর এ গ্রামের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই।”
মিলন বলেন, “রাজ্য সরকারও দেখে না, কেন্দ্র সরকারও দেখে না। শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বলছে বাড়ি হবে, কেন্দ্রও বলছে বাড়ি হবে। কিন্তু কেউই আজ পর্যন্ত বাড়ি দিতে পারল না, কেউ বলতেও পারল না বাড়িটা আসলে কবে হবে।” রাজ্য-কেন্দ্র দুই সরকারকেই দুষছেন তাঁরা। স্পষ্ট বলছেন জোছনা পাত্র, “সারা রাত ভয়ে ঘুম হয়নি রবিবার। এই মনে হয় মাথায় ভেঙে পড়বে ঘর। ঘরদোর না করে দিলে থাকব কীভাবে? একটা ত্রিপল পর্যন্ত চেয়ে পাই না।”
এ বিষয়ে ঘাটাল ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ কর বলেন, “এখনও নির্বাচনের নির্দিষ্ট বিধি বলবত রয়েছে। তাই আমরা রাজনৈতিকভাবে কিছু করতে পারছি না। তবে ওনারা বিডিও, মহকুমাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আর আমাদের জনপ্রতিনিধিরা নজর রেখেছেন। নিশ্চয়ই ব্যবস্থা হবে।”