Anganwadi Centre: ছাউনি খোলা, সাপ-ব্যাঙের অবাধ প্রবেশ, ‘বেহাল’ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই চলছে পঠন-পাঠন
Anganwadi Centre: জানা গিয়েছে, বাম আমলে নির্মিত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পরিকাঠামোর জন্য কিছু অর্থ ব্যয় হলেও একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটি।
ঘাটাল: বেহাল অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। সন্তানদের পাঠিয়েও রীতিমতো উদ্বিগ্ন থাকেন অভিভাবকরা। নেই সঠিক পরিকাঠামো। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। বিষধর সাপ, ব্যাঙ থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির পোকামাকড়ের বাস সেখানে। তারই মধ্যেই চলছে শিশুদের পড়াশোনা। দেওয়া হচ্ছে খাবারো। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর পূর্ব ১২২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা এমনই।
জানা গিয়েছে, বাম আমলে নির্মিত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পরিকাঠামোর জন্য কিছু অর্থ ব্যয় হলেও একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটি। ওই কেন্দ্রের ওপরের ছাউনি অর্ধেক খোলা, ফলে গরমে রোজ আর বর্ষায় বৃষ্টির জেরে নষ্ট হচ্ছে মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রের মধ্যে থাকা যাবতীয় নথিপত্র।
শুধু তাই নয় ওই সেন্টারে নেই কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা। প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে এসে রান্না করতে হয়। অভিভাবকদের দাবি, মন দিয়েই পঠন পাঠন করান এই কেন্দ্রের শিক্ষিকারা। কিন্তু সেন্টারের ভগ্নদশার কারণে ৮০-র বেশি মায়েদের বাড়ির কাজ ফেলে বসে থাকতে হয় শিশুদের সঙ্গে সেন্টারে।
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত শিক্ষিকা সুপ্রিয়া মাইতি বলেন, আমি ও আমার পূর্বে আরও দুই শিক্ষিকা বহুবার পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আরও ৭ থেকে ৮ টি সেন্টার রয়েছে। তাদের পরিকাঠামো এই সেন্টারের থেকে অনেকটাই উন্নত। তাই আমি প্রশাসনের কাছে বারে বারে আর্জি জানিয়েছি যাতে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পরিকাঠামো ঠিক করা হয়। এই বিষয়ে দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। সেন্টারটি যাতে মেরামত করা যায় বা নতুনভাবে তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।