Ayodha Ram Mandir: কাউন্টডাউন শুরু! অযোধ্যায় উদ্বোধনের আগেই রামের কৃপায় ফুলেফেঁপে উঠল মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের ৩০টা পরিবার

Ayodha Ram Mandir: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বৃষ্টি। আর তার জেরে কয়েক দিন ধরে মাটির প্রদীপ তৈরি করতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কুমোররা। গত বছর দীপাবলির সময় তৈরি হওয়া মাটির প্রদীপ রয়ে গিয়েছিল অনেক কুমোররের কাছে।

Ayodha Ram Mandir: কাউন্টডাউন শুরু! অযোধ্যায় উদ্বোধনের আগেই রামের কৃপায় ফুলেফেঁপে উঠল মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের ৩০টা পরিবার
মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2024 | 9:54 AM

মেদিনীপুর: অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাড়ছে মাটির প্রদীপের চাহিদা। চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কুমোররা। ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে শুরু হবে অকাল দীপাবলি আর তারই জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কুমোর পাড়ার কুমরদের মুখেও হাসি ফুটেছে কিছুটা হলেও । অকাল দীপাবলির জন্য লাগবে প্রদীপ। আর সেই প্রদীপ বিক্রি বেড়েছে কুমোর পাড়ায় ।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বৃষ্টি। আর তার জেরে কয়েক দিন ধরে মাটির প্রদীপ তৈরি করতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কুমোররা। গত বছর দীপাবলির সময় তৈরি হওয়া মাটির প্রদীপ রয়ে গিয়েছিল অনেক কুমোররের কাছে। জমে থাকা সেই মাটির প্রদীপ গুলি এখন বিক্রিতে জোর দিয়েছেন তাঁরা। মেদিনীপুর শহরের কুমোর পাড়া এলাকায় মাটির প্রদীপের বরাত দিতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি ৫০০০ মাটির প্রদীপ চেয়েও ফিরে গিয়েছেন। শহরের বেনে দোকানগুলিতে চাহিদা বাড়ছে মাটির প্রদীপের। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে মাটির প্রদীপের।

কুমোর পাড়ার এক শিল্পী বিজয় দাস বলেন, ” চলতি সপ্তাহে মাটির প্রদীপের জন্য বরাত নিয়ে আসছেন অনেকেই। এটা যদি আগে জানা যেত তাহলে মাটির প্রদীপ বানানোর কাজ শুরু করে দিতাম। হাতে সময় কম, তার উপর আবহাওয়া খামখেয়ালিপনা রয়েছে। সময়ে সেই প্রদীপ দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানিয়ে দিচ্ছি অনেক সময়ে। ” আরেক শিল্পী অরূপ পাল বলেন, “যা প্রদীপ ছিল, সেগুলো প্যাকিং করে পাঠিয়ে দিয়েছি।”

আগামী দুদিনে আরও কিছু প্রদীপ বিক্রি হবে বলেও আশাবাদী তাঁরা । অন্যদিকে বাজারে রাম সীতা হনুমানের ধ্বজাও বিক্রি হচ্ছে। ওঁদের কেউ কেউ বললেন, “রামমন্দিরের পরোক্ষপ্রভাবই পড়ল আমাদের ওপর। হয়তো রামেরই কৃপা। এখন তো সময়েই আর বিক্রিবাট্টা সেভাবে হয়না। অসময়ে প্রদীপ বিক্রিতে আমাদের সংসারের হাল ফিরল।”