June malia: রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি মিলল অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর সূত্র? হোঁচট খেলেন জুন মালিয়া
Medinipur: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের পর বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ সাময়িক ধামাচাপা দেওয়া গেলেও অসন্তোষ মিটছিল না। অতি সম্প্রতি কলকাতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কে নিয়ে বৈঠকে বসেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন দুপক্ষকে নিয়ে বসে মেটাতে হবে সমস্যা।
মেদিনীপুর: দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরেও খুলল না জট। মেদিনীপুর পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর বৈঠক প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ চেয়ারম্যান থেকে কাউন্সিলরদের। বৈঠকের নির্যাস কী? বলতে গিয়ে কার্যত হোঁচট খেতে হল জুন মালিয়া থেকে সুজয় হাজরা, মানস ভুঁইঞাকে। বেশ কিছুদিন ধরে মেদিনীপুর পৌরসভায় পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছিল মেদিনীপুর পৌরসভার ১০ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের। গত বছর ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ রীতিমতো পৌরসভায় চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ তৃণমূলের দশজন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের পর বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ সাময়িক ধামাচাপা দেওয়া গেলেও অসন্তোষ মিটছিল না। অতি সম্প্রতি কলকাতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কে নিয়ে বৈঠকে বসেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন দুপক্ষকে নিয়ে বসে মেটাতে হবে সমস্যা। অসন্তোষ থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশ বাইরে যে করা যাবে না তা নিয়ে কার্যত কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া, পৌর প্রধান সৌমেন খান, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। বৈঠকে ছিলেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীও।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ম্যারাথন বৈঠকের পর একে একে বেরিয়ে আসেন মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলররা। প্রথমেই সংবাদমাধ্যমকে কার্যত এড়িয়ে বেরিয়ে যান শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব। এ নিয়ে মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার দাবি করেন, গণতন্ত্রে মতের ফারাক হয়। কেউ বহিঃপ্রকাশ করে ফেলেন বেশি করে, কেউ মাঝে মাঝে একটু কম। গণতন্ত্রে মতের বিরোধ স্বাভাবিক বলেও দাবি করেন মানস।
তবে কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেও দাবি করেন তিনি। খানিকটা একই সুর তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়ার গলাতেও। সমস্যা মিটে যাবে বলে দাবি করেছেন জুন মালিয়াও। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার অবশ্য দাবি, কাজ করতে করতেই মিটবে সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ এই বৈঠক নিয়ে কী আলোচনা হল তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কোনও কাউন্সিলরই। এবার প্রশ্ন ফের কি রাস্তায় দেখা যাবে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের? আবার কি নতুন নাটক অপেক্ষা করছে মেদিনীপুর শহরবাসীর জন্য! এই প্রশ্নের উত্তর কবে মেলে সেটাই এখন দেখার।