Pingla: নিজেই মারুতিতে গিয়ে উঠেছিল পিংলার যুবতী? CCTV ফুটেজে আরও জোরালো ‘পূর্ব পরিচিতির’ তত্ত্ব
Pingla: যুবকের দিদির বক্তব্য, তাঁর ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। উভয়ের মধ্যে প্রায়শই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা হত।
পিংলা: পিংলার যুবতীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমে ক্রমেই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হতে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবতী এবং অভিযুক্ত যুবক আগে থেকেই পরিচিত ছিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর মোড়। ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবতী নিজেই মারুতি গাড়িটিকে উঠে যাচ্ছেন। আর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত যুবকের পরিবার পাল্টা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। যুবকের দিদির বক্তব্য, তাঁর ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। উভয়ের মধ্যে প্রায়শই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা হত। শুধু তাই নয়, ওই যুবতী নাকি অতীতে একাধিকবার নিজের বাড়ি ছেড়ে ওই যুবকের বাড়িতে চলে আসার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিল।
অভিযুক্ত যুবকের দিদি আরও বলেন, প্রতিদিনের মতো সেদিনও সকালে মারুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল তাঁর ভাই। এর বেশি তাঁরা ওই ঘটনার বিষয়ে আর কিছুই জানতেন না। পরবর্তী সময়ে খবর পান। তবে ওই সময়ে কী হয়েছে,কেন হয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। এদিকে যুবতীর পরিবারও আবার প্রশ্ন তুলছে, কেন চলন্ত মারুতি থেকে তাঁদের মেয়েকে ফেলে দেওয়া হল? যুবতীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কার্যত হতভম্ব পরিবারের লোকেরা। যুবতীর এক আত্মীয়র বক্তব্য, তাঁদের কোনও পূর্ব পরিচিতি ছিল কি না, সে বিষয়ে আমরা যুবতীর পরিবার বা আত্মীয়স্বজনরা নিশ্চিত নন। ঘটনায় অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধেয় চলন্ত মারুতি গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল যুবতীকে। এরপর গাড়িটিও সেখান থেকে চম্পট দিয়েছিল। পরে স্থানীয়রাই ওই যুবতীকে উদ্ধার করে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তারপর সেখান থেকে মেদিনীপুরে ও পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত।