Corruption: জলই পেলেন না গ্রামবাসী, টাকা ঢুকে গেল কনট্রাক্টরের অ্যাকাউন্টে! নয়া দুর্নীতির অভিযোগ
Gram Panchayat: পঞ্চায়েতের কাগজে কলমের তথ্য বলছে, এলাকায় জলের পাইপলাইন ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক এর বক্তব্য, এলাকায় এখনো অব্দি কিছুই হয়নি।
গড়বেতা: এ যেন দিনে দুপুরে ডাকাতি। নির্মাণ সহায়কের স্বাক্ষর নেই। কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকি প্রকল্পের কোনও ফাইল নেই। অথচ পঞ্চায়েতের থেকে টাকা পেয়ে গিয়েছেন কন্ট্রাকটার। গ্রামবাসীরাও জানাচ্ছেন প্রকল্পের কোনও কাজই হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও অভিযুক্ত প্রধান এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।
গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, এলাকায় একটি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর। পঞ্চায়েতের কাগজে কলমের তথ্য বলছে, এলাকায় জলের পাইপলাইন ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক এর বক্তব্য, এলাকায় এখনো অব্দি কিছুই হয়নি। এক লাখ টাকা বা তার বেশি মূল্যের কোনও কাজ হলে টেন্ডার হওয়ার কথা। কিন্তু সেই টেন্ডার এখনও হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু নির্মাণ সহায়কের সই জাল করে এক কন্ট্রাক্টরকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলো অভিযোগ উঠেছে। এর পর ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক সোফিয়া আলম নিজেই অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিওকে। অভিযোগ পেয়েই গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের ভিডিও ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
তৃণমূল পরিচালিত মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান টিয়া কুন্ডুর বক্তব্য, এ ব্যাপারে তিনি নাকি কিছুই জানেন না । যদিও নির্মাণ সহায়কের দাবি, একমাত্র নির্মাণ সহায়ক ও প্রধানের সই ছাড়া এই টাকা দেওয়া যায় না। নির্মাণ সহায়ক যেখানে খোদ অভিযোগ জানিয়েছেন, সেখানে অভিযোগের আঙ্গুল প্রধানের দিকে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভগবান প্রদত্ত ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের, যে তৃণমূল করলেই তারা চুরি করতে পারবে । ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে । গ্রামের লোকের সাথে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের এ বঞ্চনা আমরা মেনে নেবে না।” গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণ নির্মাল্য ভট্টাচার্যের বক্তব্য তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তদন্তে যা উঠে আসবে তা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সাধারণ গ্রামের মানুষের জন্য আদৌ পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।