Dilip Ghosh: ‘এদিক ওদিক হলেই মুশকিল!’ বড়শির দিকে এক মনে তাকিয়ে ফের ছেলেবেলায় হারালেন দিলীপ

Dilip Ghosh: এক দিকে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটালেন জয়প্রকাশ মজুমদার। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সারা দিন পিকনিকে সময় কাটালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Dilip Ghosh: 'এদিক ওদিক হলেই মুশকিল!' বড়শির দিকে এক মনে তাকিয়ে ফের ছেলেবেলায় হারালেন দিলীপ
মাছ ধরে, পিকনিক করে দিন কাটালেন দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 11:42 PM

কলকাতা : কয়েকদিন আগেই ছোটবেলার মতো পেয়ার পাড়তে দেখা গিয়েছিল বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। শৈশবের কথা ববলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার মাছ ধরলেন তিনি। সারাদিন কাটালেন পিকনিকে খোশ মেজাজে। মঙ্গলবার একদিকে যখন দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) এবং রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari), অন্যদিকে একেবারে অন্য মেজাজে দিন কাটালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, খড়গপুর গ্রামীণের ওয়ালিপুরে এ দিন পিকনিকে যোগ দেন তিনি। দলীয় কর্মীরাও ছিলেন সেই বনভোজনে।

এ দিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের পর বনভোজনে যোগ দেন তিনি। পাশেই ছিল একটি পুকুর। তাতে মাছ ধরার আয়োজনও করা হয়েছিল এ দিন। মাছ ধরতেও যান দিলীপ ঘোষ। পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, মৎস মারিব খাইব সুখে। তবে, বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গেলে যে অসীম ধৈর্য্যের দরকার সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয় ছিপের দিকে। মনোযোগ এদিক ওদিক হলেই মুশকিল! আবারও সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ভেসেছেন দিলীপ।

এর আগে চন্দননগরে ভোট প্রচারে গিয়ে পেয়ারা পাড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চন্দননগরের আলতারায় একটি পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা পাড়েন তিনি। পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, মাঝে মাঝে হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ছোটবেলার মত পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে গাছের আম, জাম, পেয়ারা পাড়তেও ইচ্ছে করে।

তবে এই বনভোজন নিয়ে দিন কয়েক আগে বিতর্কের সূত্রপাত হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বনগাঁয় ন’হাটায় পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানে ছিলেন তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুরও। পিকনিকে ছিলেন সায়ন্তন বসু ও জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিরাও। সেই পিকনিক যে কেবল একটা সাধারণ চড়ুইভাতি ছিল না, তা ভালই আঁচ করতে পেরেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও। আর সম্প্রতি জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবারই জয়প্রকাশ ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, কর্মীদের উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভালো নেই বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, কোনও জেলা কমিটি আজও তৈরি হয়নি। বিক্ষোভ এড়াতে নেতাদের চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর আক্রমণের নিশানায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জয়প্রকাশ বলেন, “মাত্র আড়াই বছর রাজনীতিতে এসেছেন সভাপতি। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতারা আজ রাজ্য বিজেপিতে ব্রাত্য।”

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh on Buddhadeb Bhattacharjee : “ দল কি ওনাকে সম্পত্তি বানিয়ে রাখতে চায়, যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়েছে,” বললেন দিলীপ