Paschim Medinipur: ফাঁকি দিয়েছে শীত, চাষের খরচ উঠবে তো? আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়ছে চাষিদের
Paschim Medinipur: যে ওষুধ কয়েকদিন আগেও ৯৫০ টাকা দাম বিক্রি হচ্ছিল তা বর্তমানে ১১৫০ এর গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছে। খরচ সামাল দিতে না পেরে অনেকেই বাধ্য হচ্ছে ঋণ নিতে। কৃষকদের দাবি, কিছুদিন আগেই কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। সেই সব গাছে এখনই ধসা লাগলে আর বাঁচানো যাবে না।
চন্দ্রকোনা: মাসের শুরুর দিকে বেশ খানিকটা পারাপতন দেখতে পাওয়া গেলেও দিন যত গড়িয়েছে ততই যেন কমেছে শীতের দাপট। উঠেছে পারা। তাতেই কপালে ভাঁজ বাংলার আলু চাষিদের। আচমকা আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে আলু গাছকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কৃষকদের কাছে। ফেব্রুয়ারি শেষেই আগেই গরমের দাপট বাড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কৃষকেরা। সকলেই খুঁজছেন ধসার হাত থেকে বাঁচার উপায়। এদিকে চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই নাবি ধসার ব্যাপক প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মরছে আলু গাছ।
এদিকে আবার মরসুমের শুরু থেকে মাঝেমাঝেই বৃষ্টিতে ভিজেতে বাংলার বড় অংশ। তাতেও আলু চাষের বেশ খানিকটা ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মেদিনীপুরেও অনেক কৃষককেই দু’বার আলু লাগাতে হয়েছে। বেড়েছে চাষের খরচ। এরইমধ্যে নাবি ধসার প্রকোপে বাড়ায় নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। ওষুধের দামও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। বাড়ছে চাহিদাও। চাইলেও অনেক সময় সঠিক সময় ওষুধ কেনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। আগাম বুকিং করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন কেউ কেউ।
যে ওষুধ কয়েকদিন আগেও ৯৫০ টাকা দাম বিক্রি হচ্ছিল তা বর্তমানে ১১৫০ এর গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছে। খরচ সামাল দিতে না পেরে অনেকেই বাধ্য হচ্ছে ঋণ নিতে। কৃষকদের দাবি, কিছুদিন আগেই কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। সেই সব গাছে এখনই ধসা লাগলে আর বাঁচানো যাবে না। ফলনও অনেকটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। লাভ তো দূরের কথা, সে ক্ষেত্রে চাষের খরচ আদৌও উঠবে কিনা তা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। অনেকেই ঋণ নিয়ে করেছে চাষ। তা মেটাবেন কী করে তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। কৃষি দফতর যাতে পরিস্থিতির দিকে নজর দেয় সেই দাবিও উঠেছে। উঠেছে ঋণ মুকুবের দাবি। ওষুধের চাহিদা যে বেড়েছে তা স্বীকার করছেন ওষুধ বিক্রেতারাও। চিন্তায় চন্দ্রকোনা ২ নম্বর সহ কৃষি অধিকর্তা শ্যাম দুলাল মাশান্তও। কৃষকদের ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।