Medinipur: ‘মুখ্যমন্ত্রী চোখের জল ফেলে টাকা জোগাড় করেন’, আর তাস খেলার আসরে বসেই ‘লুঠ’ করছেন কর্মীরা
Medinipur: ছবিতে দেখা গিয়েছে, ত্রিপল পেতে বসে রয়েছে উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব-বুথ কর্মীরা। ত্রিপলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক জব কার্ড। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জব কার্ড হোল্ডাররা। টাকা গোছাতে ব্যস্ত এক ব্যক্তি।
মেদিনীপুর: মন্ত্রী হুঁশিয়ারির পরেও খোদ মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকাতেই জবকার্ড রেনুয়ালের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। জব কার্ড হোল্ডারদের কাছ থেকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি তত্ত্বাবধানে সেই টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১০০ দিনের অর্থ বরাদ্দে হাত নয়, মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার হুঁশিয়ারির পরেও থোরাই কেয়ার এলাকার নেতৃত্বদের। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গত ৭ তারিখ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৫ নম্বর সারতা অঞ্চলের বনাই গ্রামে ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান মানস ভুঁইঞা।। ১০০ দিনের টাকা নিয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইঞা সবং ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স-সহ এলাকার সমস্ত নেতৃত্বদের সতর্ক করে বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর, কেউ যেন রাত্রে গিয়ে ধমক দিয়ে হাত না পাতে। সতর্ক হোন।” তিনি আরও বলেন, “এই টাকা নিয়ে কেউ যদি গরিব মানুষের সঙ্গে অসভ্যতামি করে পুলিশ সুুপার সাহেবকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেব। একদম গ্রেফতার হয়ে যাবেন, সবাই শুনে রাখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের জল ফেলে টাকা জোগাড় করবে, আর আমাদের মধ্যে কেউ যদি এদিক-ওদিক করে তাহলে কিন্তু গ্রেফতার হবেন।”
কিন্তু খোদ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও ঘুম ভাঙল না এলাকার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে নেতৃত্বদের। এবার ১০০ দিনের জব কার্ড রিন্যুয়ালের নামে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৪ নম্বর দশগ্রাম অঞ্চলের নানকার বুথ এলাকায়।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, ত্রিপল পেতে বসে রয়েছে উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব-বুথ কর্মীরা। ত্রিপলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক জব কার্ড। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জব কার্ড হোল্ডাররা। টাকা গোছাতে ব্যস্ত এক ব্যক্তি। জব কার্ড নিতে ব্যস্ত অন্য একজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জব কার্ড রিন্যুয়াল করে দেওয়ার নাম করে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে নেতৃত্বরা। আবার কেউ কেউ টাকার কথা শুনে মুখ ফিরিয়েও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এই ঘটনায় সবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ বা যার তত্ত্বাবধানেএই টাকা নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের সেই বুথ সভাপতি বিনন্দ মণ্ডলের বক্তব্য, “যা করা হচ্ছে তা অঞ্চলের নির্দেশেই।” তাঁর কথায়, “পুরনো যেসব জব কার্ড হোল্ডাররা রিন্যুয়াল করেননি , তাঁদের জব কার্ড রিন্যুয়ালের জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি নেতা অমূল্য মাইতির বক্তব্য, “যেখানে টাকার গল্প, সেখানেই তৃণমূল। এখানে মন্ত্রী সচেতন করে দেওয়ার পরও নীচু তলার কর্মীরা কথা শুনছেন না। ” তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, “নির্দিষ্ট এরকম কোনও অভিযোগ কানে আসেনি। তবে অভিযোগ উঠলে, প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। “