Former CPIM MLA : হাসপাতালের মেঝেয় কাটল রাত, প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বেড পেলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক

Former CPIM MLA : ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিনপুরের বিধায়ক ছিলেন দীবাকর হাঁসদা। বেড না পেয়ে মেঝেতেই স্যালাইন নিতে হয় তাঁকে।

Former CPIM MLA : হাসপাতালের মেঝেয় কাটল রাত, প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বেড পেলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক
রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন দীবাকর হাঁসদা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 8:25 PM

মেদিনীপুর : একসময় ছিলেন দাপুটে বাম বিধায়ক। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে রোগীর বেডের প্রয়োজন পড়লেই ডাক পড়ত ‘দীবা’-দার। আজ সেই বিধায়ককেই শয্যার অভাবে পড়ে থাকতে হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে। সারারাত কাটল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেঝেয় শুয়ে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বেড পান ঝাড়গ্রামের বিনপুরের প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক (Former CPIM MLA) দীবাকর হাঁসদা। একরাশ দুঃখ নিয়ে তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম এটাই সরকারি হাসপাতালের নিয়ম।”

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিনপুরের বিধায়ক পদ সামলেছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা দীবাকর হাঁসদা। স্বাস্থ্য বিভাগের সরাসরি কোনও দায়িত্বে না থাকলেও বরাবর ঝাড়গ্রাম-সহ প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের রোগীদের পাশে থেকেছেন তিনি। রোগীরা বেড না পেলে হাসপাতালের সুপারের কাছে তদ্বির করেছেন বেডের জন্য। তবে সেসব অতীত।

দাপুটে এই সিপিএম নেতাকে অসুস্থ শরীর নিয়ে আজ পড়ে থাকতে হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেঝেতে। রবিবার বিকেলে গল ব্লাডার স্টোন অপারেশনের জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে। তবে অত্যধিক রোগীর চাপ থাকায় শয্যা মেলেনি তাঁর। মেঝেতেই স্যালাইন নিতে হয় তাঁকে। ঘুমানোর জন্য ৫০ টাকা ‘পাতনি’ (এক টুকরো ত্রিপল) কেনেন। তাঁর প্রশ্ন, বেড না দিক, রোগীদের নীচে ঘুমানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা রাখা হবে না?

সিপিআইএমের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীবাকর হাঁসদা। পরিস্থিতির বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসক দেখিয়ে ভর্তি হয়েছি। ভেবেছি, সরকারি হাসপাতালের এটাই নিয়ম। আমাদের সময়ে প্রাক্তন বিধায়কদের জন্য সুযোগ সুবিধা ছিল। এখন আছে কি না, জানি না।” তাঁর প্রশ্ন, “সরকার যে উন্নয়নের দাবি করে এটাই কি সেই উন্নয়নের নমুনা?”

গতকাল রাতে প্রাক্তন বাম বিধায়ককে বেড দেওয়া হয়। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর প্রাক্তন বিধায়ককে বেড দেওয়া নিয়ে হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পঞ্চানন কুন্ডু বলেন, “উনি যে প্রাক্তন বিধায়ক সেকথা বলেননি। বললে একটা বেডের ব্যবস্থা করা যেত।”

তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, “হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু, রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ফলে যতই চেষ্টা করা হোক, পর্যাপ্ত বেড দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি যুক্তি দেন, হাসপাতালের তরফে জানার পরই প্রাক্তন বিধায়ককে বেড দেওয়া হয়। এই নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই।

বাম জমানায় এমন ঘটনা অনেক বেশি হয়েছে দাবি করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কোনও রোগীকে নামিয়ে তো বিধায়ককে বেডে তুলে দেওয়া যায় না। এটাকে এত নেগেটিভ করে দেখা উচিত নয়।”