Durga Puja 2023: কোটি টাকার পুজো নয়, কোটি টাকার ‘মন’ দিয়ে পুজো করেন পৃথ্বীরাজ, কেমনে?
Durga Puja 2023: রামকৃষ্ণ ভাবধারায় মা পূজিত হন পৃথ্বীরাজ মল্লিকের বাড়িতে। প্রতিবারের মতো এ বছরও মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনতে শুনতে দেবীর চোখ এঁকেছে পৃথ্বীরাজ। প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। প্রতিবেশীদের উৎসাহও কম নয়, এই পুজোকে ঘিরে।
ঘাটাল: ছেলে তখন ক্লাস ফোর। বাড়ির বারান্দায় খেলা করলেও দুরন্ত ছেলের খোঁজ রাখতে হত মা’কে। হঠাৎ একদিন ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে করতে মা দেখতে পান, পুকুর থেকে মাটি তুলে নিয়ে আসছে ছেলে। প্রশ্ন করায় ছেলের উত্তর ছিল, ‘মা দুগ্গা ঠাকুর তৈরি করব।’ মৃন্ময়ী মূর্তি তো তৈরি হল, কিন্তু পুজো করবে কে? ব্রাহ্মণ নয়, সেই নাবালকই করল পুজো। ঘাটালের মল্লিক বাড়ির পুজোর সেটাই শুরু। গত ১০ বছর ধরে বহরে বেড়েছে সেই পুজো।
ছোট্ট পৃথ্বীরাজ আজ স্কুলের পাঠ শেষ করে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে সে নিজেই মূর্তি তৈরি করে পুজো করে। সাহায্য করে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব। আজ প্রতিবেশীরাও অঞ্জলি দিতে যায় পৃথ্বীরাজের পুজোয়। পৃথ্বীরাজ ব্রাহ্মণ নয়, তাতে কী? ভক্তিটাই আসল, বলছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেছেন, ছোট থেকে কীভাবে পুজো করে চলেছে পৃথ্বীরাজ।
এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। পড়াশোনার ফাঁকে সে বাড়িতে তৈরি করছে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ, কার্তিক। জানা যায়, রামকৃষ্ণ ভাবধারায় মা পূজিত হন পৃথ্বীরাজ মল্লিকের বাড়িতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি পৃথ্বীরাজের। বাবা সরকারি চাকুরে। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনতে শুনতে দেবীর চোখ এঁকেছে পৃথ্বীরাজ। প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে।
পৃথ্বীরাজের মা মৌসুমী বলেন, “মা যেন ওকে দিয়ে সব করিয়ে নেন। আগে আমি ওকে তেমন সাহায্য করতে পারতাম না, তারপরও পুজো হত নিষ্ঠাভরেই। ও নিজে বাসন ধুয়ে, আরতি করে পুজো করত।” তবে এখন বহর বেড়েছে পুজোর। অনেকেই জানেন তাঁদের বাড়ির পুজোর কথা। তাই মাকেও ছেলের পাশে থাকতেই হয়।