মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও জুটছে না টিকা, হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ চন্দ্রকোণায়

Vaccine: চাঁদিফাটা রোদ। তার মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘামছেন কয়েক'শো মহিলা। কেউ রুমাল দিয়ে মাথা ঢাকছেন, কেউ শুধুই দাঁড়িয়ে রয়েছেন টিকার অপেক্ষায়। সকাল থেকে টিকা নিতে এসে প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন তাঁরা।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও জুটছে না টিকা, হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ চন্দ্রকোণায়
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 5:09 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: চাঁদিফাটা রোদ। তার মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘামছেন কয়েক’শো মহিলা। কেউ রুমাল দিয়ে মাথা ঢাকছেন, কেউ শুধুই দাঁড়িয়ে রয়েছেন টিকার অপেক্ষায়। সকাল থেকে টিকা নিতে এসে প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন তাঁরা। তবু মিলল না ভ্যাকসিন। হাসপাতালে বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা হাসপাতালে।

শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু মহিলা। প্রিয়াঙ্কা ঘোষ নামে ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়ানো এক মহিলার দাবি, “সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। সেই ১১ টা থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি চড়া রোদে। আমাদের কষ্টের আর কে দাম দেবে। আমরা সাধা ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে একটা ছাউনি পর্যন্ত নেই।” ঘামতে ঘামতে সুজাতা চক্রবর্তী বলছেন, “সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখনও হচ্ছে না। কখন ভ্যাকসিন দেবে কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু ভ্যাকসিন তো নিতে হবে। তাই দাঁড়িয়ে আছি।”

এদিকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকশো মহিলা। যদিও মহিলাদের দাবি, কখন ভ্যাকসিন দেবেন তা জানানোই হয়নি। তীব্র রোদের মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তবুও হুঁশ ফেরেনি। এদিন হাসপাতালের সামনে দেখতে পাওয়া যায়, তীব্র দাবদাহের মাঝে ছাতা ও আঁচল মাথায় দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তীব্র রোদের মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন। দীর্ঘক্ষণ চড়া রোদে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ গরমে কাহিল হয়েও লাইন ছাড়ছেন না। আশঙ্কা, আবার কবে ভ্যাকসিন পাবেন তার তো কোনও ঠিক নেই।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী বলছে?

চন্দ্রকোণা হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, দেখলাম লাইন অনেক বড় হয়েছে। মানুষের অসুবিধা হচ্ছে তা সত্যি। তবে দেখব সেটা যেন আর না হয়। ভ্যাকসিন নিতে এসে কেন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে তার কোনও উত্তর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।থ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

উল্লেখ্য, জেলায় জেলায় টিকা কেন্দ্রে ঝামেলা, অশান্তির ছবি এসেছে। এমনকি ২৯ জন জলপাইগুড়ি-তে পদপিষ্ট হয়েছেন টিকা নিতে গিয়ে! একদিন আগে টিকা (COVID Vaccination) না পেয়ে  কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ান এই জেলারই এক টিকাপ্রাপক। বৃহস্পতিবার ঘাটাল হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের এই চাঞ্চল্যকর ছবিটি সামনে আসে। সেখানে টিকাপ্রাপক এক মহিলা সরাসরি পুলিশ কর্মীদের কার্যত হুমকি দিয়ে বলেন, “টিকা না পেলে ঝাঁটা দিয়ে পেটাব, জামা খুলে দেব।” টিসকা নিয়ে এমন ছবিই উঠে আসছে প্রতিদিন। আরও পড়ুন: ‘টিকা না পেলে ঝাঁটা দিয়ে পেটাব, জামা খুলে দেব’, পুলিশকেই হুমকি টিকাপ্রাপকের!