Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে ‘পাট্টা’ রাজনীতি কেশপুরে, অভিষেকের ‘সাফল্য’-কে হাতিয়ার তৃণমূলের, খোঁচা বিজেপির
Panchayat Election 2023: এদিকে বিজেপি নেতা এবং বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান স্বপন বেরা বলছেন, পাট্টা বিলি নয়, ওটা মানুষকে বোকা বানানোর একটা ষড়যন্ত্র। এটা বুঝতে মানুষের কোনও অসুবিধা হয়নি।
পশ্চিম মেদিনীপুর: গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরের আনন্দপুরের সভায় যাওয়ার পথে হঠাৎই মাতকাতপুরে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ওই এলাকার কাঁসাই নদীর এ্যানিকেট পাড়ায় সেচের জমিতে থাকা বাসিন্দাদের পাট্টার দাবি দীর্ঘদিনের। অভিষেককে কাছে পেয়ে এলাকার লোকেরা তাঁদের জমি যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। ওই গ্রামে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসীদের কথা শুনেই সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। জমির ব্যবস্থা করতে বলেন।
এরপরই ওই এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের আবেদন সংগ্রহ করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। দশ দিন কাটতে না কাটতেই অবশেষে স্বপ্নপূরণ হয় গ্রামবাসীদের। সেচের জমিতে বসবাসকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পাট্টা। সেই পাট্টাকে হাতিয়ার করেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে ওই এলাকায় বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১১২ ও ১১৩ নম্বর মিলিয়ে দুটি পঞ্চায়েতে বিশেষ নজর দিচ্ছে শাসকদল। পাট্টা বিলিতে বাজিমাত তৃণমূলের, বলছেন তৃণমূল নেতারাই। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোননয়ন জমার কাজ শুরুর আগে থেকেই জোরকদমে প্রচারে নামে তৃণমূল। অন্যদিকে ভোটে প্রার্থী খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয় বিজেপিকে। যদিও বিজেপি নেতা এবং বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান স্বপন বেরা বলছেন, পাট্টা বিলি নয়, ওটা মানুষকে বোকা বানানোর একটা ষড়যন্ত্র। এটা বুঝতে মানুষের কোনও অসুবিধা হয়নি। তারা বিজেপির সঙ্গে ছিল, বিজেপির সঙ্গেই থাকবে।
অন্যদিকে তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির দাবি, “এইবার নির্বাচনে বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করে গিয়েছেন তাতে দিশাহারা বিজেপি নেতারা। গোটা গ্রাম তৃণমূলকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুটি পঞ্চায়েতই আমরা দখলে নেব।”
প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতকাতপুর বুথ। খড়গপুর ও মেদিনীপুর শহরে মাঝখানে অবস্থিত ওই বুথ সহ বড়কলা গ্রাম ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনেও এখানে ভাল ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এবার অভিষেকের পাট্টা বিলিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। গ্রামবাসীরা বলছেন, ১০০ বছরের পুরনো সমস্যার সমাধান করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূলের প্রতি কৃতজ্ঞ তো থাকতেই হবে। এক গ্রামবাসী বলছেন, “যদি তৃণমূলকে এবার ভোট না দিই তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।” যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।