Keshiary: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কেশিয়াড়ির ভবনে এখন মদের বোতল
Paschim Medinipur: নীল সাদা রংয়ের ঝাঁ চকচকে ভবন। দোতলায় বড়-বড় করে লেখা সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতর।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কেশিয়াড়ির কর্মতীর্থতেও লুঠের অভিযোগ। কেশিয়াড়ির সেই কর্মতীর্থ এখন হয়ে উঠেছে ভুতুড়ে বাড়ি। অভিযোগ, তার ভিতরেই চলে অসামাজিক কাজ। জানা গিয়েছে, একশো চোদ্দটি স্টলের সাটার সহ ফ্যান ও ইলেকট্রিকের যাবতীয় সামগ্রী ইতিমধ্যেই খোওয়া গিয়েছে। আর সরকারি প্রকল্পের এই দেখভাল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
নীল সাদা রংয়ের ঝাঁ চকচকে ভবন। দোতলায় বড়-বড় করে লেখা ‘সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতর’। ২০১৬-র ৩ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠান থেকে এই মার্কেটিং ও পাশাপাশি ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বছর না ঘুরতেই গড়ে ওঠে দোতলা বিল্ডিং। জানা গিয়েছে, ব্যবসা ও যাবতীয় কাজের জন্য লটারি করে স্টল বিলি করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন কোনও অজ্ঞাত কারণে তা চালু করা যায়নি। সেন্টারটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জায়গা নির্বাচন নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য বাজার এলাকা থেকে কমপক্ষে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা মাঠের মাঝখানে অবস্থিত এই ভবনটি।
তবে নিরাপত্তারক্ষীহীন কর্মতীর্থ এখন ভাঙাচোরা ঘর। লুট হয়েছে প্রত্যেকটি সামগ্রী। একশো চোদ্দটি স্টলের শাটার দরজা ভাঙা, দোমড়ানো মোচড়ানো। চুরি হয়েছে লাইট, ফ্যান, ইলেক্ট্রিকের তার-সহ বাথরুমের যাবতীয় সামগ্রী। লুঠ হয়েছে জলের পাম্পটিও । একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ধরনের চুরি দেখে হতবাক মানুষ।
ফলত, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কেশিয়াড়ির কর্মতীর্থ বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে। প্রহরীহীন খোলা গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে সাটার ভাঙা রুমে মদের বোতল। ছেঁড়া জামা, ভাঙাভাঙিতে আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের দুষ্কর্মের চিহ্ন। সারা বিল্ডিংয়ের ওয়্যারিংয়ের জিনিসপত্র লোপাট। জানলার কাচ-দরজা ভাঙা। মাঠের মাঝখানে অবস্থিত কর্মতীর্থে চলে এখন দুষ্কর্ম ? অন্তত তেমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। কেশিয়াড়িবাসী যদিও এতে বিস্মিত। তাঁদের প্রশ্ন কী জন্যে গড়ে তোলা হল এই তীর্থ?
কর্মতীর্থ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত। বর্তমান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি অশোক রাউতের বক্তব্য, ২০১৮ সাল থেকে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেনি। সেই কারণেই এমন হাল হয়েছে। গোটা বিষয়টির জন্য দায়ী বিজেপি।অন্যদিকে, বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক ক্যাশিয়ার বিজেপি নেতা গৌরীশংকর অধিকারীর বক্তব্য, শুধু কেশিয়াড়ি নয় গোটা পশ্চিমবঙ্গের কর্মতীর্থ গুলির একই হাল। কর্মতীর্থ নয় নেশাতীর্থ গড়ে তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।