Keshpur TMC: তৃণমূল যেদিন ব্লক যুব সভাপতি বানাল, সেদিনই সুকান্তের হাত ধরে বিজেপিতে রবি মুর্মু
Keshpur TMC: নয়া অ্যাডভাইজারি কমিটিতে স্থান পেয়েও দলত্যাগ করেছেন তিনি। কোন্দলের কথা স্বীকারও করেছে শাসকদল। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির তৃণমূল।
মেদিনীপুর: একদিকে তৃণমূলে তাঁর নাম ঘোষণা হচ্ছে ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি হিসাবে। আর ঠিক তখনই সেই ব্যক্তি দল ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছে। চরম রাজনৈতিক শোরগোল কেশপুরে। এবার কেশপুরে শাসকদল তৃণমূলে ভাঙন! একদিকে ব্লক কার্যালয়ে যখন যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটির ঘোষণা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে পতাকা তুলে দল ছাড়লেন ১৪ নম্বর অঞ্চলের সদ্য প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি। জানা যাচ্ছে, নয়া অ্যাডভাইজারি কমিটিতে স্থান পেয়েও দলত্যাগ করেছেন তিনি। কোন্দলের কথা স্বীকারও করেছে শাসকদল। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির তৃণমূল।
মঙ্গলবার বিকালে কেশপুর ১৪ নম্বর অঞ্চলের বিশ্বনাথপুর বাজারে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সভার শেষ পর্যায়ে তৃণমূল ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ১৪ নম্বর অঞ্চলের সদ্য প্রাক্তন যুব সভাপতি রবি মুর্মু। রবির দাবি, “দলে থেকেও কাজ করতে পারছি। এভাবে দলে থাকাই দায়।” দলের উচ্চ নেতৃত্ব কাজ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেভাবে আর সেই কারণেই দলত্যাগ।
অন্যদিকে রবি মুর্মু যখন যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে, ঠিক সেই সময় কেশপুর ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে বসে যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটি ঘোষণা করছিলেন ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি। যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটির নয়া অ্যাডভাইজারি কমিটির তালিকায় জ্বলজ্বল করছেন রবি মুর্মুর নাম। তাহলে দলত্যাগ কেন এলাকার দাপুটে এই যুবনেতার?
এক্ষেত্রে তৃণমূল অন্দরেই শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের নেতাদের সমস্যাকে দায়ী করেছেন কেশপুরের ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি আসিফ ইকবাল। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই কোনও কাজ না করে বাড়িতে বসে ছিলেন দলত্যাগী যুব নেতা। খোঁচা দিতেও ছাড়েন নি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সব মিলিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির । বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেশপুরে এত সন্ত্রাসের মধ্যে এটা হলে, তাহলে বুঝতেই পারছেন বাংলার অন্যান্য জায়গায় মানুষ কী চাইছেন।”