Madhyamik 2022: বাড়িতে সাপের কামড় খেয়ে আজ ইংরেজি পরীক্ষা দিল চন্দ্রকোণার আর এক ছাত্র
Madhyamik 2022: বিডিও বলেন, "গত পরশু ওকে সাপে কামড়েছিল। বাড়িতেই কামড়েছিল। কনভেনারের থেকে খবর পেয়েছিলাম। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালেই যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
পশ্চিম মেদিনীপুর: শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা রয়েছে। গাঁটে গাঁটে ব্যথা। একটা ঝিমুনি কাজ করছে। সাপের কামড় খেয়েও হাসপাতালের বেডে শুয়ে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষা দিল চন্দ্রকোণার পলাশচাবাড়ি নিগমানন্দ হাইস্কুলের ছাত্র গৌতম ঘোষ। ঠিক তারই মতো একই রকম কষ্ট নিয়ে পরীক্ষা দিল সঞ্জয় টুডু নামে আরও এক ছাত্র। তাকেও সাপে কামড়েছে সোমবার রাতে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই ইংরাজি পরীক্ষা দিল দুজন। তাদের সঙ্গে মঙ্গলবারই চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা করতে যান ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসন সবরকম সাহায্য় করবে। বিডিও বলেন, “গত পরশু ওকে সাপে কামড়েছিল। বাড়িতেই কামড়েছিল। কনভেনারের থেকে খবর পেয়েছিলাম। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালেই যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে বাড়িতে পড়ার সময়ে চৌকির নীচ থেকে বেরিয়ে গৌতমের পায়ে কামড় দিয়েছিল সাপে। রাতে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার জেদ ছিল গৌতমের। সোমবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় গৌতম। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর লিখছিল সে। শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন, আচমকাই তার শরীর নীল হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে গৌতম। তারপর প্রশ্ন করা হলে, বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, আরও এক ছাত্রকে সোমবার রাতে সাপে কামড়ায়। সঞ্জয় টুডু নামে ওই ছাত্র কাঁয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্র। পিংলাস হাইস্কুলের তার সিট পড়েছে। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে রাস্তায় সাপে কামড়ায় সঞ্জয়কে। রাতেই তাকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেও হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেয়। বিএমওএইচ জানিয়েছেন. চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে দুই ছাত্র। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কোনও রকম অসুবিধা লক্ষ্য করা গেলেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।
মঙ্গলবার চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের দুটি রুমে বসে পরীক্ষা দেয় দুই ছাত্র। পুলিশ, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দেয় তারা। দুই ছাত্রের অদম্য জেদের কাছে হার মেনেছে সব কিছুই। বাহবা দিয়েছেন শিক্ষক-চিকিৎসকরাও।
তবে এইভাবে এলাকায় সাপের প্রভাব বেড়ে যাওয়াতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ওই এলাকায় বেশিরভাগই মাটির বাড়ি। এভাবে সাপের উপদ্রুব বেড়ে যাওয়ায়, দুই ছাত্রকে এক রাতের ব্যবধানে সাপের কামড়ের ঘটনায় প্রশাসনও চিন্তিত।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা হলেই কাগজ কুড়োতে পাড়ায় ঢুকত দুই মহিলা… আসল পরিচয় জেনে স্তম্ভিত পড়শিরাই