Paschim Medinipur: নোংরা জল ফেলা বন্ধ করতে গিয়ে মার খেলেন পৌরকর্মীরা, হাসপাতালে ১০
Paschim Medinipur: মেদিনীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নান্নুরচক এলাকাতে পৌরসভার জল প্রকল্পের একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। পৌর কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে পৌরসভার (Municipality) জল প্রকল্পের ভেতরের একটি জায়গাতে নোংরা জল ফেলা বন্ধ করতে উদ্য়োগ নিয়েছিলেন পৌরকর্মীরা। মেদিনীপুর পৌরসভার (Mednipur Municipality) পৌরপ্রধান সৌমেন খানের নির্দেশে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন পৌরকর্মীরা। কিন্তু, অভিযোগ, ওই জায়গা দখল করে বসে রয়েছে একটি পরিবার। পৌরকর্মীরা যেতেই তাঁদের রড-লাঠি নিয়ে তাড়া করেনে। এমনকী তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ঘটনাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, মেদিনীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নান্নুরচক এলাকাতে পৌরসভার জল প্রকল্পের একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। পৌর কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন খোদ পৌরপ্রধান। এ ঘটনার জেরে ১০ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহতরা মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদি স্থানীয়দের পাল্টা দাবি, পৌরসভার কর্মীরাই তাঁদের মারধর করেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “নান্নুরচকে জল প্রকল্পের একটা জায়গা আছে। সেই জায়গার ভিতর বেশ কিছু বাড়ির কিছু নোংরা জল এসে পড়ে। আমরা পুরসভা থেকে ওই সমস্ত বাড়ির সদস্যদের জল ফেলতে নিষেধ করি। তারপরে ওই এলাকার মানুষরা আমাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে। তবে হাইকোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসে। জানানো হয়, জল প্রকল্পের মধ্যে কেউ নোংরা জল ফেলতে পারবে না। আমরা সেই কাজ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হই। আমাদের ছেলেদের মারধর করা হয়। তবে পৌরসভার কর্মী হওয়ার কারণে আমাদের ছেলেরা কারও গায়ে হাত দেয়নি।” ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “নান্নুরচকে যে ঘটনা ঘটেছে তা অবাঞ্চিত ঘটনা। দিনীপুর পৌরসভার উচিত অবিলম্বে সমস্ত বেআইনি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রস্তাবও দিই পৌরসভার কাছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। ”