Paschim Medinipur: বিতর্কিত মন্তব্যের পরই কমল মন্ত্রীর নিরাপত্তা, বাড়ির দরজায় বসল নয়া নির্দেশিকা

Paschim Medinipur: নিত্যদিন এই কার্যালয়ে প্রচুর মানুষ নানা কাজে এসে থাকেন। এতদিন মন্ত্রীর কার্যালয়ে আসতে গেলে ছিল না কোনও বিশেষ নিয়ম।

Paschim Medinipur:  বিতর্কিত মন্তব্যের পরই কমল মন্ত্রীর নিরাপত্তা, বাড়ির দরজায় বসল নয়া নির্দেশিকা
বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 11:32 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিতর্কিত মন্তব্যের জের? রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর নিরাপত্তা কমিয়ে নেওয়া হল। এতদিন Y ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পেতেন তিনি। এখন থেকে X ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাবেন। একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন তাঁর সাথে। যেমন বিধায়করা পেয়ে থাকেন। ওঁর এসকর্ট ও অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে।  মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় সাঁটানো নয়া নির্দেশিকা। আর সেই নির্দেশিকা নিয়েই নয়া বিতর্কে জড়ালেন জঙ্গলমহলের এই হেভিওয়েট বিধায়ক।

মন্ত্রী জড়ালেন আরও একটি বিতর্কে। মন্ত্রীর বাড়ির সামনে দরজায় সাঁটানো হয়েছে একটি কাগজ। তাতে লেখা, ‘মোবাইল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ’। আর এই নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর শালবনির চকতারিণীর বাড়িতেই রয়েছে তাঁর কার্যালয়।

নিত্যদিন এই কার্যালয়ে প্রচুর মানুষ নানা কাজে এসে থাকেন। এতদিন মন্ত্রীর কার্যালয়ে আসতে গেলে ছিল না কোনও বিশেষ নিয়ম। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এবার প্রত্যেককেই ভেতরে প্রবেশ করতে হবে মোবাইল বাইরে জমা রেখেই।

চলতি সপ্তাহেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্পটলাইটে চলে এসেছেন শ্রীকান্ত মাহাতো। একটি গাছতলায় বসে দলীয় কর্মীদের সামনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দেবাদিদেব মহাদেব, সন্ধ্যা রায়, সায়ন্তিকা, জুন মালিয়া, মিমি-ঝিমি, নুসরত-ফুসরত, সন্দীপ সিং, উত্তরা সিং.. তারা লুঠেপুটে খাচ্ছে, তারা যদি সম্পদ হয়, তাহলে তো সে পার্টি করা যাবে না। পার্টির টাকা ডাকাতি করে তারা যদি পার্টির সম্পদ হয়, তাহলে কি চোর ডাকাতদের কথা শুনবে দল? আমাদের সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। মুখে বলতে হবে।”

পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমিতির নামে নয়া মঞ্চ তৈরির বার্তা দেন মন্ত্রী। আর তার স্বপক্ষে যুক্তি খাঁড়া করতে গিয়ে মন্ত্রী এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করেন। কেউ গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় সেই ভিডিয়ো করে, পরে যা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপারটি পৌঁছয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

দলবিরোধী মন্তব্য করায় তাঁকে শোকজ করা হয়। সেই শোকজের জবাবে ক্ষমাও চেয়ে নেন রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু তারপরই মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় লাগানো এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা।

জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের দাবি, ভেতরের কথা যাতে বাইরে না আসে সেজন্যই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত । অন্যদিকে, মন্ত্রীর নিরাপত্তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। TV9 বাংলা টেলিফোনে যোগাযোগ করে শ্রীকান্ত মাহাতোর সঙ্গে। মন্ত্রীর দাবি, কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। পাশাপাশি তার যে সিকিউরিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।