Paschim Medinipur Marriage: ১৩ ঘণ্টা ঠাঁই বসে বরকে জিতে নিলেন এই মেয়ে! বাহবা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরাও

Paschim Medinipur Marriage: স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে সকাল থেকেই ধরনায় বসেন মোনালিসা। এদিকে ধর্নায় বসার খবর কানাকানি হতেই বিবেকের পরিবার বেপাত্তা হয়ে যান।

Paschim Medinipur Marriage: ১৩ ঘণ্টা ঠাঁই বসে বরকে জিতে নিলেন এই মেয়ে! বাহবা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরাও
ধর্না বসে বিয়ে করলেন এই তরুণী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 9:35 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিয়ে হলেও পরে পাত্তা দিচ্ছিলেন না স্বামী। স্ত্রীকে একা অন্যত্র রেখে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। এমনই দাবি দিল্লিবাসী মহিলার। তাই স্বামীর ঘর করতে চেয়ে দিল্লি থেকে ঘাটালের কুঠিঘাটে এসে পৌঁছন এক তরুণী। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন বিয়ের প্রমাণপত্রও। শেষমেশ আবারও চার হাত এক হল।

জানা যাচ্ছে, ঘাটালের কুঠিঘাটের বিবেক ভুঁইয়ার সঙ্গে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে আলাপ হয় দিল্লিতে কর্মরতা জগদ্দল থানার শ্যামনগরের তরুণী মোনালিসা জয়ধরের। রেজিস্ট্রির আবেদন করেও আর রেজিস্ট্রি বিয়ে করা হয়নি। ঘাটালের মন্দিরে বিয়ে হয় মোনালিসা বিবেকের। মোনালিসার দাবি, তিনি দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকায় সেখানে বিবেকের নিত্য যাতাযাত ছিল। হঠাৎ বিবেক এই সম্পর্ক অস্বীকার করেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাও বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ মোনালিসার। মোনালিসা দিল্লি থেকে ৮ ই নভেম্বর কুঠিঘাটে তাঁর স্বামী বিবেক ভুঁইয়ার বাড়িতে গিয়ে ধর্নায় বসেন।

স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে সকাল থেকেই ধরনায় বসেন মোনালিসা। এদিকে ধর্নায় বসার খবর কানাকানি হতেই বিবেকের পরিবার বেপাত্তা হয়ে যান। খবর যায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। যাবতীয় বিবাহিত জীবনের ছবি-সহ প্রমাণ নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন মোনালিসা।

গ্রামবাসীরাও পাশে থেকে সমর্থন করেন। রাত এগারোটার সময় ঘাটাল থানার ওসি-সহ পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। তখন পৌঁছয় বিবেকের পরিবারও। তাঁরাও বাড়ির বউকে মেনে নেন।

গ্রামবাসীদের সামনে আবারও একবার চার হাত এক হয়। গ্রামের কালীমন্দিরে গ্রামবাসীদের সামনে মালাবদল সিঁদুরদান করে বিয়ে হয় বিবেক- মোনালিসার। শেষমেশ মোনালিসাকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান বিবেক ও তাঁর বাবা-মা। ১৩ ঘণ্টার লড়াই স্বার্থক হয় মোনালিসার।