Paschim Medinipur: পিংলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত ১
Paschim Medinipur: ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পিংলা: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলা থানা এলাকার এক ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাড়িতে পাড়ার একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়িতে জানাতে এসেছিল প্রতিবেশী এক যুবক। আর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ পেয়েই ওই প্রতিবেশী যুবক ওই তরুণীকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশেও দায়ের হয় অভিযোগ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবকের বয়স ২৮।
ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার দাদা বলেন, “গ্রামে আজ একটা মিটিং ছিল। সে কথা জানাতেই সন্ধ্যায় ওই যুবক বাড়িতে আসে। এসে দেখে বাড়িতে বোনের মা নেই। দিদির বাড়ি গিয়েছিল। তখনই মুখে কাপড় দিয়ে দিয়ে জোর করে ওকে ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে ভিতর থেকে আটকেও দেয়। পাশবিক অত্যাচার শুরু করে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে আমরা আটকে রাখি। পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ করি। তারপরই পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।”
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে নির্যাতিতার মা লিখেছেন, ‘প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমি জানতে পারি বাড়িতে আমার মেয়ে খুব কান্নাকাটি করছে। তারপরই আমি বাড়িতে আসি পরবর্তীতে জানতে পারি প্রতিবেশী যুবক বাড়িতে ঢুকে জোর করে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ওর গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তপাতও হচ্ছে। এরপরই মেয়েকে নিয়ে পিংলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত ডাক্তাররা ওর অবস্থা দেখে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। আমি চাই পুলিশ দোষীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিক।’