Debra: বেহাল রাস্তাই কাড়ল প্রাণ! স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এ কেমন ছবি?
Road situation: এক অসুস্থ বৃদ্ধকে খাটিয়ায় চাপিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে। পরের দিনই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
ডেবরা: লক্ষীর ভান্ডার চাইনা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী কিছুই চাই না। চাই সার্বিক উন্নয়ন। চাই এলাকার রাস্তাঘাট। এমনটাই দাবি উঠল এখন পশ্চিম মেদিনীপুররে ডেবরায় (Debra)। স্বাধীনতার এত বছর পর আজও পাকা রাস্তা বলতে কিছুই নেই ওই অঞ্চলে। গতকাল এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে খাটিয়ায় চাপিয়ে ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিক সময়ে আনতে পারলে হয়ত ফিরে পাওয়া যেত মানুষটাকে।
বিহারের দশরথ মাঝিকে নিয়ে বছর কয়েক আগে সিনেমা তৈরি হয় বলিউডে। রাস্তা না থাকায় স্ত্রী’কে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। মৃত্যু হয় বিনা চিকিৎসাতেই। এরপর তিনি একাই পাহাড় কেটে তৈরি করেছিলেন রাস্তা। এর বছর বাদে রাস্তার তেমনই বেহাল দশা দেখা গেল ডেবরায়। ডেবরা ব্লকের সত্যপুর অঞ্চলের মির্জাপুর সংসদের ঘটনা। সরকারের কাছে সেখানকার মানুষের আবেদন, যাতে দ্রুত রাস্তাঘাট ঠিক করা হয়।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও খাটিয়ায় চাপিয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। না, এখানে কোনও বন্যা হয়নি। শুধুমাত্র রাস্তার বেহাল দশার খারাপের জন্যই অসুস্থ মানুষকে খাটিয়ায় তুলে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। ডেবরা ব্লকে তিন নম্বর সত্যপুর অঞ্চলের চকপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মনোজ কুমার মন্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েন গতকাল। এরপর তাঁকে খাটিয়ায় করেই নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, হয়ত বা হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মনোজ কুমার মন্ডলের। রাস্তার বেহাল দশার কারণেই হাসপাতালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেননি মনোজের পরিবার। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েত বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও আজ রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। তাই এখানকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পীযূষ মণ্ডল নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঠিক সময়ে ওনাকে আনতে পারলে হয়ত আজ উনি থাকতেন।’ তিনি বলেন, ‘৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে তৃণমূলকে ক্ষমতা এনেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি।’ এ্ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে কেউ মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: Flood in Bengal: মাথার ওপর ত্রিপলটুকুও জোটেনি, নিজেদের ঘরের শেষ রসদ দিয়েই পেট চলছে, কোথায় প্রশাসন?