Ghatal Flood Situation: পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই, আজ ঘাটালে যেতে পারেন দেব
Ghatal Flood Situation: বিদ্যুৎ নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। অজবনগর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখনও বসবাস করছেন রাজ্য সড়কে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটাল মহকুমার বন্যা পরিস্থিতির (Ghatal Flood Situation) এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও উন্নতি হয়নি। জলমগ্ন ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা এলাকা। সোমবার সকালে ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে যেতে পারেন সাংসদ দেব।
ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের বরদা চাতাল থেকে জল কমলেও এখনও জলমগ্ন ঘাটাল পৌরসভা কার্যালয়। পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও ১৪ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মনসুকস গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখনও জল।
যাতায়াতের একমাত্র উপায় ডিঙি বা নৌকায় অসুস্থ ব্যক্তি ও প্রসূতিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বোটের মাধ্যমে এনডিআরএফ ও পুলিশকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দাসপুর ১ ও ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও জলমগ্ন। চন্দ্রকোণা ১ ও ২ ব্লকের কৃষি জমি জলের তলায়।
বিদ্যুৎ নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। অজবনগর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখনও বসবাস করছেন রাজ্য সড়কে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। শেষ হয়ে আসছে শুকনো খাবার। এবার দেখা দিচ্ছে খাদ্য সঙ্কট।
প্রসঙ্গত, দু’মাস আগেই আরও একবার প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। অগস্টে ঘাটালের বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ দেব। নৌকায় বানভাসি দুর্গতদের কাছে পৌঁছন তিনি। দ্বিধাহীনভাবে খালি পায়ে কাদার মধ্যে দিয়েই দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিলি করেন ত্রাণ। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে দিল্লিতে। তবে এর দুমাসের মধ্যেই ফের বিপর্যস্ত ঘাটালবাসী।
এদিকে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হল । রবিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,১২,১০০ কিউসেক জল । রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল ।
নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,২৬,২০০ কিউসেক জল । রবিবার সকালে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। রবিবার সকালে ছাড়া হয় ১,১২,১০০ কিউসেক হারে জল। রবিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।
গত ১২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির জেরে ডুবতে বসেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলা। জলাধারগুলি থেকে হু-হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে সেটাই। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ-সহ বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়ার একাধিক ব্লক পুরোপুরি জলের তলায়।