ষষ্ঠীতে এসে জানলেন স্ত্রী’র অন্যত্র বিয়ে দিয়েছে শ্বশুর, সকালেই উদ্ধার জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ
খুন (murder) করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই, অভিযোগ মৃতের পরিবারের। দেহ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছে পুলিশ।
ঘাটাল: জামাই ষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন জামাই। আর তার ঠিক পরের দিন সকালেই উদ্ধার হল জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। আত্মহত্যা নাকি খুন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। খুনের অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তদন্ত করছে পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে শুকদেব কুইলা নামে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শ্বশুরবাড়ির সামনে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানা এলাকার শ্রীপুরে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন নবগ্রামের বাসিন্দা শুকদেব কুইলা। চার বছর আগে শুকদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীপুরের বাসিন্দা পুন্য দলুই-এর মেয়ের। পেশায় স্বর্ণ কারিগর শুকদেবের স্ত্রী গত মাস দুয়েক ধরে বাপের বাড়িতে ছিলেন। গত কাল, জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে শ্বশুর বাড়িতে এসে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী’র আবার অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন শ্বশুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ষষ্ঠীর দিন এসেছিলেন সেই নতুন জামাইও।
আরও পড়ুন: ‘ছেলে হয়ে বলতে আমার কষ্ট হয়…’ শেষমেশ সন্তানের চরম কটাক্ষের মুখে শোভন!
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে মৃত শুকদেবের বাড়ির লোক এসে শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অন্য দিকে, মৃত যুবকের শাশুড়ির দাবি, তিনি জানতেনই না যে তাঁর জামাই বাড়িতে এসেছে। গত কয়েক মাসে তিনি আসেননি শ্বশুরবাড়িতে। এরপর এ দিন সকালে তিনিই প্রথম দেখতে পান ঝুলন্ত মৃতদেহ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আত্মহত্যা না কি খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।