Bengal Panchayat Election: সিপিএম প্রার্থীর হাতেই বোর্ড গঠনের ‘তাস’, দড়ি টানাটানির মাঝে জয়ী প্রার্থীকে এলাকা থেকে ‘সরাল’ লাল শিবির

Bengal Panchayat Election: দু পক্ষই আশাবাদী হলেও শিরদাঁড়া সোজা রাখার কথা বলছে সিপিএম। সবার সঙ্গেই সমান দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন বাম প্রার্থী।

Bengal Panchayat Election: সিপিএম প্রার্থীর হাতেই বোর্ড গঠনের 'তাস', দড়ি টানাটানির মাঝে জয়ী প্রার্থীকে এলাকা থেকে 'সরাল' লাল শিবির
চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েতImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2023 | 9:16 PM

চন্দ্রকোনা: ভোটের যে ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে কোনও দলই বোর্ড গঠন করতে পারছে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। নির্ণায়ক শক্তি হল সিপিএম। সিপিএম প্রার্থীর সমর্থন পেলে তবেই বোর্ড গঠন করতে পারবে তৃণমূল বা বিজেপি। দু পক্ষই আশাবাদী হলেও শিরদাঁড়া সোজা রাখার কথা বলছে সিপিএম। সবার সঙ্গেই সমান দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন বাম প্রার্থী।

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতের আসন মাত্র ১৫টি। তৃণমূল ৭টি আসন, বিজেপি ৭টি এবং সিপিএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া সব পক্ষই। সিপিমের জয়ী প্রার্থীকে কে দলে টানবে, তা নিয়েই চলছে জোর লড়াই।

বিজেপি নেতা বিপ্লব মালের দাবি, সিপিমের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়ে গিয়েছে। সিপিএম নাকি তাঁদের সমর্থন করতে রাজি হয়ে গিয়েছেন। বিজেপি নেতা বলেন, বান্দিপুর এলাকার মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরাই বোর্ড গঠন করব। তাঁদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূল নানাভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তবে তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের দলের কেউ তৃণমূলে যোগ দেবেন না। উপরন্তু, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি বিপ্লব মালের।

চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়ার বক্তব্য, গোটা রাজ্যে যখন সবুজ ঝড়, তখন চন্দ্রকোনাতেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কাউকে টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সিপিএম অবশ্য প্রার্থীকে সরিয়েই দিয়েছেন এলাকা থেকে। একমাত্র জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে টানা হেঁচড়া হবে জেনে প্রার্থীকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতা সুস্মিত পাল বলেন, ‘সাধারণ অঙ্কের সমীকরণই বলছে সিপিএম এখানে নির্ণায়ক শক্তি। তবে আমরা বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলের থেকেই সমান দূরত্ব বজায় রাখছি। আমাদের প্রার্থীর শিরদাঁড়া সোজা আছে, তাঁকে কেনা যাবে না।’ চন্দ্রকোনার বান্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এখন কারা বোর্ড গঠন করবে, সেটাই দেখার।