Daspur Child Missing: স্কুলে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে ঘরে ফেরেনি অঙ্কিত ও রাজ, ঘুম ছুটেছে পুলিশের
Daspur Child Missing: দিকে মাস চারেক আগে বিহার থেকে ছোট্ট অঙ্কিত তাঁর বাবা ছোটু কাশ্যপ ও মা কাজলের সঙ্গে দাসপুরের বাসুদেবপুর এলাকার বড় দিঘির পাড়ে ভাড়া বাড়িতে আসেন। অঙ্কিতের বাবা মা ওই দিঘিতেই জেলের কাজ করেন।
দাসপুর: বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্যই বেরিয়েছিল। কিন্তু স্কুলে পৌঁছাল না। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িও ফিরল না। হঠাৎই করেই নিখোঁজ দাসপুর থানা এলাকার দুই নাবালক। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ দুই পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুই নাবালককে হয়তো লরিতে তুলে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জানা যাচ্ছে, ২২ জুলাই সকাল ১০টা নাগাদ বিদ্যালয়ে যাওয়ার নাম করে বের হয় বছর এগারোর রাজ সিং, সঙ্গে ছিল তাঁর বন্ধু বছর আটের অঙ্কিত কাশ্যপ। রাজের বাবা ভজন লাল সিং সপরিবারে দাসপুর থানার বৈকুণ্ঠপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অলোক পাইনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ভজন লালের ছেলে স্থানীয় বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। বছর খানেক আগেই তাঁরা বিহার থেকে এখানে এসেছে। ভজনলাল আইসক্রিম ফেরি করেন আর রাজের মা পুরনো জিনিসপত্রের কাটাইয়ের দোকানে কাজ করে।
এদিকে মাস চারেক আগে বিহার থেকে তাঁর বাবা ছোটু কাশ্যপ ও মা কাজলের সঙ্গে অঙ্কিত দাসপুরের বাসুদেবপুর এলাকার বড় দিঘির পাড়ে ভাড়া বাড়িতে আসেন। অঙ্কিতের বাবা মা ওই দিঘিতেই জেলের কাজ করেন। রাজ আর অঙ্কিতকে প্রায়শই এক সঙ্গে দেখা যেত। ২২ জুলাইও তাদের বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তারপর থেকে রাজ আর অঙ্কিত বাড়ি ফেরেনি।
পাঁচ দিন হতে চলল, নিখোঁজ রয়েছে দুই নাবালক। রাজের পরিবারের তরফে দাসপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছে। দাসপুর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুই নাবালকের ছবি সারা রাজ্যের বিভিন্ন হোমে, পুলিশ স্টেশনে,পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়রদের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে। দাসপুর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিংও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি তাদের।
আদৌ ওই দুই নাবালক ইচ্ছায় বাড়ি থেকে নাকি তাদের কেউ অপহরণ করেছে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কারণ দুই নাবালকরই বাবা-মা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। সেক্ষেত্রে তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাছাড়া মুক্তিপণ চেয়ে কোনও ফোনও আসেনি। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে অপহরণ কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুজনেরই বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তারা।