Paschim Medinipur: পানীয় জলে মিলল ব্যাকটেরিয়া, আন্ত্রিকের উদ্বেগ এখনও কাটেনি দাসপুরে

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলু পাড়ার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।

Paschim Medinipur: পানীয় জলে মিলল ব্যাকটেরিয়া, আন্ত্রিকের উদ্বেগ এখনও কাটেনি দাসপুরে
একটু পানীয় জলের জন্য কয়েক কিলোমিটার পার করতে হয় বাসিন্দাদের। (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2021 | 7:23 AM

দাসপুর: আন্ত্রিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল আরও। নতুন করে আক্রান্ত আরও দুই। পষ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে গত কয়েক দিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ক্রমশ। এরই মধ্যে এল পানীয় জলের নমুনার রিপোর্ট। বুধবার পানীয় জল পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় এই জল পানের উপযোগী নয়। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মিলেছে সেই জলে।

বুধবার থেকেই দাসপুর ১ ব্লকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম এলাকা ঘুরে দেখে। নতুন করে যারা অসুস্থ হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে বুধবার সন্ধেয় এলাকার পানীয় জলের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানান, জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। এই জল যাতে কেউ পান করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্যামপদ বাবু আরও জানান, তিনি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতর ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দু দিনের মধ্যে এলাকার এই সজল ধারার পাইপ লাইন সারিয়ে দিতে হবে। জল পরীক্ষা করিয়ে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি, এই কয়েকদিনের জন্য ওই পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ পানীয়জলের গাড়ির ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এলাকাবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছেন, জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তবেই তা খেতে হবে।

দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আলু পড়ায় গত ৭ থেকে ৮ দিন ধরে এলাকার মানুষ আন্ত্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। ইতিমধ্যেই বেসরকারিভাবে আন্ত্রিকে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। অনেকেই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ওই পাড়ার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ তাঁদের পাড়ার এমন বিপদে পাশে নেই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একবারের জন্যও আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক বারে বারে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক অনুমান কালী পুজো থেকে ভাইফোঁটা কয়েকদিন ধরে একাধিক উৎসবের জেরে কোনওভাবে খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এমনটা হতে পারে। তবে স্থানীয়দের দাবি কালী পুজোর আগে থেকেই তাঁদের পাড়ায় এই সমস্যা,শুধু এই পাড়া নয় এমন বমি,পায়খানার কমবেশি সমস্যা পাড়ার বাইরেও রয়েছে।

তবে টানা তিন দিন ধরে দাসপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ওই পাড়ায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করে আক্রান্তের চিকিৎসা করে চলেছে। গঠন করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। মেডিক্যাল টিমের অন্যতম সদস্য ড. প্রসেনজিৎ রায় জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি নজর দিতে হবে যাতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে। তাঁর জন্য বিশেষ কয়েক নির্দেশ তিনি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Alipurduar: মুখ ফিরিয়েছিল নার্সিং হোম, যমজ সদ্যোজাতদের নতুন জীবন দিল সরকারি হাসপাতাল