Dilip Ghosh: ‘বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা তো মাছের বাজার’, ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে খোঁচা দিলীপের
Dilip Ghosh: শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল। তাঁরা আগামী তিনমাস পার্শ্বশিক্ষকের মতো বেতন পাবেন। এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে।
মেদিনীপুর: শুক্রবারই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদলকে বিঁধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এরইমধ্যে শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “পশ্চিমবাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে মাছের বাজার করে দিয়েছে তৃণমূল।” দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা সময় বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা সকলের গর্বের ছিল। বহু মহাপুরুষ জন্মেছেন এ রাজ্যে। ব্রিটিশ আমলের আগে থেকে বাঙালিরা শিক্ষিত বাঙালি হিসাবে মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। বিজেপি নেতার কথায়, “একটা যুগ ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসাবে লেখা থাকবে।”
এদিন সকালে খড়গপুর শহরে চা-চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপের কটাক্ষ, “এ রাজ্যে শিক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে মূর্খ করে পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি করার ব্যবস্থা চলছে এ রাজ্যে। সবথেকে বেশি লেনদেন হয়েছে, প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। শুধু চাকরি বাতিল করলে হবে না, এই টাকা কাদের কাছে গিয়েছে, তাদেরও নামও সামনে আনতে হবে। তাদেরও শাস্তি প্রাপ্য। না হলে তারা আবারও লোক ঠকাবে।”
এই চাকরি বাতিল নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল শুক্রবারই জানিয়েছেন, একটি নিয়োগও বেআইনিভাবে হয়নি। আইন মেনে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের ভবিষ্যতের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যথাযথ ভূমিকা পালন করা হবে বলেও জানান তিনি। এমনও শোনা যাচ্ছে, শুক্রবার হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। যদিও টিভি নাইন বাংলাকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপিল করারই তো কথা। তবে আমি যে রায়টা দিয়েছি সেটা ভাল করে পড়লেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
অন্যদিকে শুধু দিলীপ ঘোষ নন, এই চাকরি বাতিল নিয়ে সোচ্চার সুকান্ত মজুমদারও। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষক থাকবে না এবার। তাঁরা চার মাস পার্শ্বশিক্ষকের মতো মাইনে পাবেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরপর যা সময় আসছে তাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩৫৬ বলবৎ করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।”
এরই পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন, “আদালতের কোনও কোনও রায় সামনে চলে এলে যাঁরা শকুনের রাজনীতি করেন, তাঁদের কেমন একটা পুলক জাগে। এই যেমন সুকান্ত মজুমদার। কোনও সংগঠন তো নেই। তাই ভাবে এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই। কোথাও কিছু জটিলতা, একটু অনিশ্চয়তা দেখলেই ওদের পুলক জাগে। এই তো ৩৫৬! আসলে ওরা তো ভোটে জিতে আসতে পারবে না। প্রথমেই একটা ৩৫৬।”