CPIM: ‘লাল পতাকা দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে’, সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে উত্তপ্ত কেশপুর

Medinipur News: রবিবার সন্ধ্যায় সিপিএমের কেতুয়া পার্টি অফিসে বসে নভেম্বর বিপ্লব কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার তৃণমূলের মিছিল থেকে পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়।

CPIM: 'লাল পতাকা দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে', সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে উত্তপ্ত কেশপুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2022 | 10:40 PM

মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কেশপুর (Keshpur)। সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সাতজন আহত হন বলে দাবি সিপিএমের। দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, এসব সিপিএমের দলাদলির ফল। তৃণমূল এসবের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

রবিবার সন্ধ্যায় সিপিএমের কেতুয়া পার্টি অফিসে বসে নভেম্বর বিপ্লব কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার তৃণমূলের মিছিল থেকে পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। পার্টি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় সিপিএম কর্মীদের বলে অভিযোগ উঠেছে।

আহত অবস্থায় সাতজনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও ঘটনায় তৃণমূল যোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, এই ঘটনার পিছনে দায়ী সিপিএমের গোষ্ঠীকোন্দল।

অজিত মাইতি বলেন, “আমাদের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। আমাদের কোনও কর্মী এতে যুক্ত নন। এখন কোথাও কোথাও সিপিএমে সিপিএমে গন্ডগোল হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার সিপিএম বিজেপিতে গোলমাল হচ্ছে। কারণ, সিপিএমের যে কর্মীরা বিজেপিতে চলে গিয়েছিল, তাদের সিপিএম ফেরানোর চেষ্টা করছে। সেই জন্য সম্ভবত টুকটাক মারামারি লেগে যাচ্ছে সিপিএম বিজেপিতে। আর এটা চলতেও থাকবে।”

যদিও সিপিএমের কেশপুর ৩ নম্বর এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি শুভাশিস পাইন বলেন, “কেশপুরে ওদের পায়ের তলায় মাটি সরছে বুঝতে পেরেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসব করছে। আমাদের অফিসগুলো খুলছে, মিটিংয়ে লোক আসছে। লাল পতাকায় তাই ওরা ভয় পাচ্ছে। এদিন তৃণমূলের একটা মিছিল থেকে ৪০-৫০ জন লাঠি, বল্লম, টাঙ্গি নিয়ে আমাদের অফিস আক্রমণ করে। আমাদের ১০-১২ জনকে মারধর করে। অফিসের আসবাবপত্র ভাঙে। চেয়ার টেবিল ভাঙে। আমাদের কর্মীরা খালি হাতে ছিলেন। যেটুকু পেরেছেন প্রতিরোধ করেছেন। ওরা সশস্ত্র ছিল। পুলিশকে বারবার বলেও লাভ হয়নি। তৃণমূলের বক্তব্য এখানে কোনও সিপিএমের কার্যালয় ওরা করতে দেবে না।”