BJP: ফের মেদিনীপুরে বিজেপির দলাদলির অভিযোগ, মানতে নারাজ নেতৃত্ব

Medinipur: বৈঠক শেষে জেলা বিজেপি সভাপতির গাড়ি ঘিরে এলাকার বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তিনি বলেন, কোনও বিক্ষোভ হয়নি।

BJP: ফের মেদিনীপুরে বিজেপির দলাদলির অভিযোগ, মানতে নারাজ নেতৃত্ব
বিজেপি জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2022 | 11:34 PM

মেদিনীপুর: মেদিনীপুরে (Medinipur) ফের বিজেপির অন্দরে কোন্দলের অভিযোগ উঠল। শনিবারই অভিযোগ ওঠে, মেদিনীপুর সদর বিজেপি কার্যালয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন জেলা বিজেপির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রবিবার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার এক নেতাকে সুর চড়াতে শোনা যায় দলের একাংশের বিরুদ্ধেই। এরইমধ্যে গড়বেতায় ফের উঠল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ।

শনিবার অভিযোগ ওঠে বিজেপির গড়বেতা মধ্যমণ্ডলের সভাপতি ঠাকুর দাস মিদ্যার সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি হয় জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইতের। রবিবার সকালে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সদস্য তথা চন্দ্রকোণার অবজারভার শান্তিময় কৌড়ি তোপ দাগেন, দলের রাশ অপরিপক্ব, দলবদল করা নেতাদের হাতে। এরপরই রবিবার সন্ধ্যায় গড়বেতার আমলাগোড়া শ্যাম সংঘ ভবনে সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ঝামেলার অভিযোগ ওঠে।

এদিন বৈঠক করতে যান জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস মিশ্র। বৈঠক শেষে জেলা বিজেপি সভাপতির গাড়ি ঘিরে এলাকার বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ ওঠে। মধ্য মণ্ডলের সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভও উগরে দেন বলেই অভিযোগ। খবর পেয়ে গড়বেতা থানার পুলিশও পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। যদিও তাপস মিশ্র এই অভিযোগ মানতে নারাজ।

বিজেপি জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র বলেন, “কয়েকজন নতুন কর্মী, পুরনো কয়েকজনও কাজের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন, কিন্তু গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে আমাদের জানাতে আসেন। আমরা বলেছি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।” তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, কোনও বিক্ষোভের প্রশ্নই নেই। বিজেপিতে এই সংস্কৃতি চলে না। গোটা জেলাতেই এরকম কোনও পরিবেশ নেই। একইসঙ্গে তিনি শনিবার মেদিনীপুরে কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন। তাঁর মন্তব্য, “মেদিনীপুরে কোনও ঘটনাই ঘটেনি। কোনও মারপিট হয়নি। কথা কাটাকাটি হয়েছে। মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে শঙ্কর গুছাইতের। এটা বড় দাদা ছোট ভাইয়ের কথা কাটাকাটির মতো।

যদিও গড়বেতার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, “বিজেপির তো পরস্পর বিরোধী বক্তব্য তাদের নিচুতলা থেকে উপর স্তর পর্যন্ত শোনা যায়। দিলীপ ঘোষের যে ভাষা আচার আচরণ কাঁচা বাঁশ দিয়ে পেটানোর নিদান তাতেই কর্মীরা উত্তেজিত হচ্ছেন। আর কাঁচা বাঁশ দিয়ে অন্যদের মারতে গিয়ে নিজেদের ঘরেই ঢুকে যাচ্ছে বাঁশ। শুনলাম গতকাল জেলাতে কী বৈঠকে নাকি মারপিট হয়েছে। আজ তারই রেশ গড়বেতায় আছড়ে পড়েছে। এখানেও জেলা সভাপতিকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে শুনতে পাচ্ছি। শুনলাম পুলিশ গিয়ে নাকি জেলা সভাপতিকে নিরাপত্তা দিয়ে বের করে এনেছে। টাকা পয়সার ভাগ নিয়ে তো লড়াই চলছে ওদের। এই তো বিজেপির অবস্থা সারা রাজ্যে। গড়বেতায় তা আরও প্রখর। কেউ কাউকে মানছে না।”