Seuli Saha: ‘দলে থেকে দলের বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না’, কেশপুর সামালতে তৃণমূল বিধায়কের ‘দাওয়াই’
Paschim Medinipur: সাম্প্রতিক সময়ে কেশপুরে বারবার শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। অতিসম্প্রতি কেশপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কেশপুরে: পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে খোদ দলের তাবড়-তাবড় নেতারা মন্তব্য করেছেন। এবার কেশপুরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখে অগ্নিশর্মা বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। সাফ জানালেন যে দলে থেকে দলের বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে কেশপুরে বারবার শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। অতিসম্প্রতি কেশপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সকল ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে রবিবার রাত্রিবেলা মেদিনীপুরে বৈঠকে বসে শাসকশিবির। জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির নেতৃত্বে বৈঠক চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। মন্ত্রীর দাবি, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অভিমান থাকলে তা জানাতে হবে দলের ফোরামেই।
উল্লেখ্য, ব্লক সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই কেশপুরে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছে শাসক শিবিরের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমস্ত গোষ্ঠীকে এক করার লক্ষ্যেই ডাক দেওয়া হয় এ বৈঠকের। বৈঠকে অজিত মাইতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা, কেশপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও যুব তৃণমূলের নেতৃত্বও। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চললেও বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি শাসকশিবিরের কোনও পক্ষই। তবে রাজ্যের মন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
এই বিষয়ে মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘আমি যাতে একটুখানি পদ পাই এই আকাঙ্খা থাকবেই। আর এটি অযথা নয়। কিন্তু পরোটাই হবে তাঁর পারফর্মমেন্সের বিচারে। তাই সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ব্লক সভাপতির পদ তো একটা। তাই আলোচনার মাধ্যমে সবটা মিটিয়ে নিতে হবে।’