Kurmi Protest: দেওয়ালে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ, ভোটের আগে বড় ‘ফরমান’ কুড়মিদের
Medinipur: জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। এমনও বহু গ্রাম রয়েছে, যেখানে ঘরের পর ঘর কুড়মি সমাজের লোকেরাই থাকেন। ভোটের আগে এমন বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
মেদিনীপুর: গত কয়েকদিনে একাধিকবার কুড়মি আন্দোলনের (Kurmi Protest) ঝাঁঝ পরখ করেছে বাংলা। জায়গায় জায়গায় পথঅবরোধ, রেল অবরোধ করেন তাঁরা। এবার দেওয়ালে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধের হুঁশিয়ারি কুড়মি সমাজের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁদের বার্তা, তাঁদের সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে ভোটের দেওয়াল লিখন করতে দেওয়া হবে না। কুড়মি সম্প্রদায়ের ঘাঘর ঘেরা আন্দোলনের অংশ হিসাবেই ‘আমার দেওয়াল আমার থাক’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে মেদিনীপুর জেলার কুড়মি-অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে। তাঁরা দেওয়ালে লিখে সে বার্তা দিচ্ছেন। লিখছেন, ‘অল ওয়াল ফর কুড়মি। দেওয়ালে যে কোনও রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ।’
খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত ট্যাঙ্গাশোল গ্রামের ঘরে ঘরে দেওয়াল লিখন সারা। কড়া বার্তা, তাঁরা কোনওভাবেই এই দেওয়াল রাজনীতির জন্য ব্যবহার করতে দেবেন না। এসটি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি, সারনা কোড চালু করা-সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন শুরু করেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। দেওয়াল লিখন নিয়ে এই প্রচারও তারই অঙ্গ। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। তার আগে মেদিনীপুরে কুড়মি সম্প্রদায়ের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
মেদিনীপুর জেলা-সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। শালবনি ব্লক, খড়গপুর -১, কেশিয়াড়ি তিনটি ব্লকে বেশিরভাগই কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। এর বাইরে জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এই তিন জেলাতেও বহু মানুষই এই সম্প্রদায়ের। আর প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ভোটের প্রচারের অন্যতম মাধ্যম এখনও এই দেওয়াল লিখনই। শহুরে দেওয়াল লিখনের মতো নয় সেগুলি। অনেক বেশি করে লিখনে ঝাঁঝ, অনেক বেশি মাটির ছোঁয়া।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকার কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা যদি সেই দেওয়ালই লিখতে না দেন, কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
জেলা বিজেপির মুখপাত্র তথা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাসের কথায়, এটা কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলবে। তবে তাঁর দাবি, বর্তমানে ভোট প্রচারের একটা বড় অংশ ডিজিটাল মাধ্যমে হয়। তবে প্রত্যন্ত গ্রামে ভোট প্রচারে এই মাধ্যম কতটা কার্যকর তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। একইসঙ্গে অরূপ দাস বলেন, কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের যে দাবি তা রাজ্য সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার মন্তব্য, “রাজ্য সরকারের যে উন্নয়নের ধারা, সেদিকে নজর রেখে সকলের উচিত রাজ্য সরকারের পাশে থাকা।” তবে এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধা হবে না বলে মত তাঁরও।