TMC Councillor: এখনও সবজি বিক্রি ছাড়েননি তৃণমূল কাউন্সিলর, রাত থাকতেই ঝাঁকা নিয়ে হাজির হন বাজারে…

Medinipur: ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছিল সমর দোলুইকে। জমি বন্ধক দিয়ে নির্বাচনের প্রচারের খরচ জুগিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

TMC Councillor: এখনও সবজি বিক্রি ছাড়েননি তৃণমূল কাউন্সিলর, রাত থাকতেই ঝাঁকা নিয়ে হাজির হন বাজারে...
সবজি বাজারে কাউন্সিলর সমর দোলুই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 4:47 PM

ঘাটাল: ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছেন। তবে এর বহু আগে থেকে বাজারে সবজি বিক্রি করেন বাজারে। নিজে সবজি ফলান। সেই সবজি নিয়ে নিয়ম করে দিনের আলো ফোটার আগে পাইকারি বাজারে যান। সেই রোজনামচায় এখনও বদল আসেনি চন্দ্রকোণা (Chandrakona Municipality) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমর দোলুইয়ের। কাউন্সিলর হলেও এখনও প্রতিদিন রাত থাকতে থাকতে পসরা নিয়ে হাজির হন চন্দ্রকোণার রেগুলেটেড বাজারে। এলাকাবাসীর কথায়, মনের মতো কাউন্সিলর পেয়েছেন তাঁরা। দলের কাজ, এলাকার কাজ সামলেও নিজের পুরনো অভ্যাসকে ছাড়েননি তিনি। মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটে জিতে এবার সেখানে কাউন্সিলর হয়েছেন স্থানীয় দলমাদল গ্রামের বাসিন্দা বছর চৌত্রিশের সমর দোলুই। বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে, একেবারে ছাপোষা ব্যক্তিও নেতা হতেই বোলচাল বদলে ফেলেন। জীবনযাত্রায় আমুল বদল দেখা যায়। তবে সমর দোলুইয়ের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখেননি এলাকার লোকেরা।

সমরের ছোট একটা পাকা বাড়ি, সামনের অংশ টিনে ঘেরা। তাতে দু’টো ঘর। বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী, দুই সন্তান রয়েছে। বাবা লক্ষ্মীকান্ত দোলুইয়ের পুঁজি বলতে বিঘা চারেক জমি। সেই জমিতেই সবজি ফলাতেন। সঙ্গে দিনমজুরের কাজ। লক্ষ্মীকান্তবাবুর একমাত্র ছেলে সমর পড়াশোনায় ভাল। এমএ পাশ করেছেন। তবে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় বাবার সঙ্গে জমির সবজি নিয়ে গিয়ে চন্দ্রকোণার রেগুলেটেড বাজারে বিক্রি করতেন। এখন বাবার বয়স হওয়ায় সমর একাই সে কাজ করেন। মাঝে দু’বছর করোনা, লকডাউনের সময় একটি অনলাইন সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসাবেও কাজ করেছেন সমর দোলুই। এখন নেতা হয়েছেন। তবে তাঁর কথায়, যেখানেই পৌঁছন না কেন, সততাই তাঁর জীবনের মূল পুঁজি।

তৃণমূল কাউন্সিলর সমর দোলুই বলেন, “আমি তো বরাবরই সবজি বিক্রি করি। ভোটে জিতে কাউন্সিলর তো পরে হয়েছি। এই সবজি আমি নিজে চাষ করি। সেটাই পাইকারি বাজারে বিক্রি করি। ১২-১৪ বছর হয়ে গেল। ভোর ৪টেয় বাজারে আসি। ৬টার মধ্যে চলে যাই। এক সময় আমি রঙের কাজও করেছি। এখন সবজি বিক্রি সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওয়ার্ডে ঘুরে বাড়ি ফিরি। তারপর বাড়িতে স্নান খাওয়া সেরে পুরসভা যাই।”

দোলুই পরিবার বরাবরই তৃণমূলের সমর্থক। ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছিল সমর দোলুইকে। জমি বন্ধক দিয়ে নির্বাচনের প্রচারের খরচ জুগিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ১ হাজার ৮০ ভোটে জিতে কাউন্সিলর হন। স্থানীয় বাসিন্দা কাজল নন্দী বলেন, “উনি ওয়ার্ডে আসেন। খোঁজ খবরও করেন। উনি চাষবাস নিয়েই থাকেন। সঙ্গে এখন কাউন্সিলর হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও বেড়ান। উনি তো রাজনীতি করার আগে থেকেই সবজি বিক্রি করেন। ওনার তো বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভাল না। চাষবাস করেই থাকেন। আমাদের কাউন্সিলর ভালই। আমাদের কোনও সমস্যার কথা বললে তা মেটানোর চেষ্টা করেন।”