West Bengal Panchayat Elections 2023: ‘বাম-তৃণমূল জোটেই গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন’, আবারও ডান-বামেই ভরসা গ্রামবাসীর
West Bengal Panchayat Elections 2023: খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে তৃণমূল সিপিএম ও বিজেপি আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে প্রচার করছেন এলাকায় ।
দাসপুর: রাজ্যে নজির বলা যেতেই পারে। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান- সিপিএমের উপপ্রধান। এবারে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সকলেই, শাসকবিরোধী দুই দলেই চাইছে এককভাবে ক্ষমতায় আসতে। বামফ্রন্ট ও তৃণমূলের যৌথ বোর্ড পাঁচ বছর ধরে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করেছে দাবি এলাকাবাসীর। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সার্বিক উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে দুই রাজনৈতিক দল। এবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়নকে হাতিয়ার করছে সিপিএম -তৃণমূল।পাল্টা দুই দলের বিরুদ্ধে প্রচার করে গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দশটি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি আসন পায় বামফ্রন্ট। টসের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের চন্দনা বেরা সাঁতরা, উপপ্রধান নির্বাচিত হন বামফ্রন্টের সৈয়দ হাসিনুর রহমান। দুই রাজনৈতিক দলই স্বীকার করছে যে যৌথ বোর্ডে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে।
সামনে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন বর্তমানে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২, এবারেও প্রধান পদ মহিলা সংরক্ষিত। দলের টিকিট পাননি প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান চন্দনা বেরা সাঁতরা, অপরদিকে হাসিনের রহমান সিপিআইএমের টিকিট পেয়ে শুরু করেছেন প্রচার। খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে তৃণমূল সিপিএম ও বিজেপি আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে প্রচার করছেন এলাকায় । এক গ্রামবাসীর বক্তব্য, “না বলতেই হবে, ভাল কাজ হয়েছে। রাস্তাঘাট সবই হয়েছে। কোনও গন্ডগোল হয়নি।”
বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, “আমরা বিরোধী থাকার কারণে ভাল কাজ হয়েছে। একক তৃণমূল থাকলে সম্ভব হত না।” আবার তৃণমূলের প্রধান চন্দন বেরা সাঁতরার বক্তব্য, “আমি আসলে উন্নয়নটাই বুঝি। অন্য কিছু আমি চাই না।” সকল রাজনৈতিক দলই জয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী, সময়ের অপেক্ষা শেষ হাসি ফুটে কোন রাজনৈতিক দলের ।