BJP leader death: ভোটের মুখে বিজেপির বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যু, কমিশনের দ্বারস্থ দল
BJP leader death: বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দীপকের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের মুখে ফের উঠল খুনের অভিযোগ। বিজেপির বুথ সভাপতির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এ। বৃহস্পতিবার সকালে দীপক সামন্ত নামে ওই বিজেপি নেতার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বিজেপির দাবি, ওই নেতাকে অনেক দিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই মৃত্যুর ঘটনা আসলে খুন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৯ নম্বর বলপাই অঞ্চলের বাসিন্দা দীপক সামন্ত। পানিথর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন তিনি। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির ভিতরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, সকাল ১০ টা পর্যন্তও সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছেন দীপক। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কী এমন ঘটল!
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দীপকের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছিল। এমনকী দীপককে এলাকাছাড়া করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অন্তত বছর দুয়েক জমিতে চাষ করাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল দীপককে। ভোটের প্রচারে নামলে দীপককে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। দীপকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তৃণমূল তাঁকেও ঘরছাড়া করেছিল। যাঁরা এই কাজ করেছে, তাদের চরম শাস্তি চান তিনি।
তবে, তৃণমূল এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূল ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্সের দাবি, দীপকের পরিবারের সদস্যরাই বলেছেন যে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। যে দল সব বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি, সেই দলের নেতাকে কেন হুমকি দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তৃণমূল নেতা বলেন, “সকালে বাড়ির মধ্যে গিয়ে খুন করা হল, আর গ্রামের লোক জানতে পারল না!” এই অভিযোগ নিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়ে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, “হিংসার ঘটনা অব্যাহত। কমিশন এত কিছুর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”