Paschim Medinipur: স্যালাইন দিতেই জোর কাঁপুনি, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তুমুল উত্তেজনা চন্দ্রকোনার হাসপাতালে
Paschim Medinipur: রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এ বিষয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: স্যালাইন দিতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কাঁপুনি। গোটা শরীরজুড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ব়্যাশ। দেখা যাচ্ছে নানা উপসর্গ। একজন বা দু’জন নয়, একাধিক রোগীরই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। এদিন এ ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে। রোগীর পরিজনদের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই এ ঘটনা ঘটছে। বেশ কিছু রোগীর আত্মীয় এদিন হাসপাতালে ব্যাপক বিক্ষোভও দেখান। শেষে চন্দ্রকোনা থানা ও ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এ বিষয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এক রোগীর ভাই বলছেন, “চশমা পরা এক ডাক্তার আছে এখানে। ওনাকে সমস্যার কথা বলতে গেলে বলছেন আবার স্যালাইন গুঁজে দেব। থরথর করে কাঁপবে। আমার দিদি এই হাসাপাতালে ভর্তি আছে। কী কারণে এসব হচ্ছে জানি না।”
অন্য এক রোগীর আত্মীয় বলছেন, “স্যালাইন দিতেই আমার স্ত্রীর কাঁপুনি শুরু হয়ে যায়। কেন এরকম হল কিছুই বুঝতে পারছি না।” আর এক রোগীর আত্মীয় বলছেন, “স্যালাইন তো হাসপাতালে দেওয়াই হচ্ছে না। ওরা বলছে যা আছে তা দিলে অসুবিধা আছে। আপনারা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসুন।” হাসপাতালের তরফে এক চিকিৎসক বলছেন, “কাঁপুনি অনেক কারণেই হতে পারে। কী কারণে হচ্ছে আমরা খতিয়ে দেখছি। বাইরে থেকে যে স্যালাইন আনা হয়েছে তাতেও সমস্যা থাকতে পারে। সে কারণেই আমরা স্য়ালাইনগুলি খতিয়ে দেখছি। নতুন স্যালাইন যেগুলি আনা হয়েছে সেগুলিও দেখা হচ্ছে। আমাদের এখানে স্যালাইনে সমস্যা নাকি বাইরের স্যালাইনে সমস্যা সবটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বোঝা যাবে।”