Arms : মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, এনআইএ তদন্তের দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতার
Arms Recovered : মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। ৫০-৬০ টি দোনলা বন্দুক পাওয়া গিয়েছে।
গোয়ালতোড় : মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার বড়ডাঙা গ্রামের ঘটনা। ঘটনাস্থলে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ এসে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই আগ্নেয়াস্ত্র প্রথম উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তবে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।
বুধবার দুপুর নাগাদ গ্রামের মানুষ মাটি কাটছিলেন। তাঁরা জমি সমতল করার কাজ করছিলেন। মাটি কাটার সময় একজন হঠাৎই অনুভব করেন কোনো শক্ত কিছুর সঙ্গে তাঁর কোদালের ঠোকা লেগেছে। এই সংঘর্ষে একরকম ধাতব শব্দ হয়। সেই শব্দে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তাই তাঁরা আরও মাটি খুঁড়ে রহস্য় উদঘাটনের চেষ্টা করেন। মাটি খুঁড়ে মাটির তলা থেকে তাঁরা ৫০-৬০ টি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেন। এছাড়া প্রায় হাজার খানেক কার্তুজও ওখানে ছিল। ওই বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র দেখে আকাশ থেকে পড়েন গ্রামবাসীরা।
এত অস্ত্র দেখে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ এসে ওই এলাকা ঘিরে দেয়। সব আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় সাউ বলেছেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা মাটি কাটতে গিয়ে ওই বন্দুক ও কার্তুজ দেখতে পেয়েছেন। তারপর তাঁরা আমাকে জানান। আমি গোয়ালতোড় থানায় খবর দিই। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ”
জঙ্গলমহলে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি সামনে আসতেই এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম কৌড়ি অভিযোগ করেছেন, “এখানে মাটির তলা থেকে বন্দুক এবং কার্তুজ দুইই উদ্ধার হয়েছে। এক সময় এইখানে মাওবাদী এবং সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী দুইই সক্রিয় ছিল। তাই এই অস্ত্র আসলে কাদের তার তদন্ত করতে হবে। এই অস্ত্র দেশবিরোধী কারোর কিনা তা জানি না। এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত চাই।” এই নিয়ে পাল্টা সিপিএমও মুখ খুলেছেন। সিপিএম এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক তরুণ রায় বলেছেন, ‘‘এইসব তৃণমূল আর বিজেপি-র গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। সিপিএমের হার্মাদ বলে কিছু নেই। সে সময় মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন অনেক সিপিএম নেতা-কর্মী। তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের দায় এড়াতেই সিপিএমকে দোষারোপ করছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, ‘‘২০১১ সালের আগে এলাকা দখলের জন্য সিপিএমের হার্মাদরা শিবির করে এলাকাকে দাবিয়ে রাখত। জঙ্গলমহল এলাকায় এর আগেও একাধিক জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওরা জাদুঘরে চলে গিয়েছে। তাই উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলিও জাদুঘরে পাঠাতে হবে। ওরাই এক সময় লাল টুপি বদলে গেরুয়া টুপি পড়ে নিয়েছে।’’
আরও পড়ুন : Purulia BJP : ফের বিক্ষোভের সুর পদ্মে? নাড্ডাকে চিঠি পুরুলিয়ার পাঁচ বিধায়কের