গোয়ালপোখরের ঘটনা যেন টানটান ‘থ্রিলার’, বাথরুম করতে নেমে কম্বলের তলা থেকে বন্দুক বের করল খোদ আসামিই!
Police: ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস জানান, ওই আসামিই গুলি চালায়। তবে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের গুলি করার তথ্যও উড়িয়ে দেননি তিনি। পুলিশ সুপার জানান, আসামি কীভাবে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি: নেতা-মন্ত্রীদের নিশানা করে যেভাবে পরপর গুলি চলেছে, তাতেই নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এবার আক্রান্ত সেই পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের ঘটনা হাড়হম করা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই পুলিশকর্মীকে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এরই মধ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এদিন মহকুমা আদালত থেকে সাজ্জাক আলম নামে এক আসামিকে জেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রিজন ভ্যানে ছিলেন ওই বন্দি। সেই সময়ই আচমকা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য নামে দুই পুলিশকর্মী আক্রান্ত হন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, একদল দুষ্কৃতী ওই হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে, কোনও দুষ্কৃতীদল নয়, গুলি চালিয়েছে খোদ আসামি। গুলি চালানোর পরই পালিয়ে যায় সে।
ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস জানান, ওই আসামিই গুলি চালায়। তবে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের গুলি করার তথ্যও উড়িয়ে দেননি তিনি। পুলিশ সুপার জানান, আসামি কীভাবে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরে উত্তরবঙ্গে এডিজি আইজি রাজেশ যাদব জানান, আসামিই গুলি চালিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এদিন প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন নামেন ওই আসামি। তারপর আস্তে আস্তে কম্বলের ভিতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালিয়ে দেন। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি পগারপার।
জেল থেকেই ওই আসামির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল? নাকি কোর্ট চত্বরে কেউ তাঁকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ডগ স্কোয়াড।