Primary TET 2022 Results: ‘আমাদের সঙ্গেও যে হবে না গ্যারান্টি কোথায়’, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে উদ্বিগ্ন টেটে দ্বিতীয় মৌনিসা
Hooghly: টেটে দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ জন। প্রাপ্ত নম্বর ১৩২। চারজনই মহিলা। হুগলির মৌনিসা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুরের দীপিকা রায়, পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার।
আরামবাগ: শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে টেট ২০২২-এর (WB Primary TET 2022 Result) ফলাফল। তাতে হুগলির আরামবাগের মৌনিসা কুণ্ডুর নাম রয়েছে দ্বিতীয়তে। ভাল ফলাফলে খুশি মৌনিসা, তবে একইসঙ্গে তাঁর গলায় শোনা গেল উদ্বেগের সুরও। এর আগে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখনও ধর্মতলায় বসে রয়েছেন নিয়োগের দাবিতে। মৌনিসার প্রশ্ন, ফলাফল ভাল হলেও তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। আরামবাগের বসন্তপুর এলাকার বাসিন্দা মৌনিসা গোঘাটের কলেজ থেকে ফিজিক্স নিয়ে অনার্স পাশ করেন। এরপর চাকরির জন্য পড়াশোনা শুরু। মৌনিসার বাবা সুবীর কুণ্ডু ব্যবসায়ী। মা মণিকাদেবী সংসার সামলান পটু হাতে। ভাই সোহম বর্তমানে কেমিষ্ট্রি অনার্সের ছাত্র।
মৌনিসা বলেন, “আমার হাতে পরীক্ষা দেওয়া, পড়াশোনা করা ছিল। আমি সেটা করেছি। এরপর কী হবে তা আশা করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। জানতাম পাশও করে যাব। তবে এতটা ভাল ফল আশা করিনি। যারা ধরনা মঞ্চে বসে আছে তারা বাধ্য হয়েই বসে আছে। কেউ তো শখ করে ওখানে যায় না। খারাপ হয়েছে ওদের সঙ্গে। পরে আমাদের সঙ্গে হবে না, এরকম গ্যারান্টি কিছু নেই। আমরা আশা রাখতে পারি, যা একবার হয়ে গিয়েছে তা আর হবে না।”
শুধু মৌনিসা নন, একই উদ্বেগ শোনা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দা দীপিকা রায়ের গলাতেও। দীপিকাও মৌনিসার সঙ্গে যুগ্ম দ্বিতীয়। পিংলার বড়াই গ্রামের বাসিন্দা দীপিকা ২০১৭ সালেও টেট পাশ করেছিলেন। তবে সেই চাকরি পাননি। এরপর আবারও ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে টেট দেন। পাশও করেন। পর্ষদ সভাপতির কাছে দীপিকার আবেদন, এবার অন্তত যেন স্বচ্ছতা রেখে চাকরিটা পান।