Private Tution: আইনের তোয়াক্কা না করে গৃহ শিক্ষকতা করছেন স্কুল শিক্ষকরা, প্রতিবাদে বড় আন্দোলনে গৃহ শিক্ষকেরা

Private Tution: স্কুলশিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতা করানো যাবে না। প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন সিউড়ির গৃহ শিক্ষকতা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিতে হবে ব্যবস্থা। এই দাবিতে ডেপুটেশন দিলেন গৃহ শিক্ষকেরা।

Private Tution: আইনের তোয়াক্কা না করে গৃহ শিক্ষকতা করছেন স্কুল শিক্ষকরা, প্রতিবাদে বড় আন্দোলনে গৃহ শিক্ষকেরা
ছবি - বড় আন্দোলনের পথে গৃহশিক্ষকেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 7:40 PM

সিউড়ি: স্কুল শিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতা (Private Tution) নিয়ে বারবারই বিতর্ক দানা বেঁধেছে বাংলার শিক্ষা মহলে। অভিযোগ সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করেই বাংলার বহু সরকারি স্কুল শিক্ষক গৃহ শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এবার ফের এই একই অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল বীরভূমের সিউড়ি (Siuri in Birbhum)। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক হোক বা মাধ্যমিক, যে কোনও স্তরে স্কুল শিক্ষকতার (School Teaching) চাকরির জন্য মুখয়ে থাকেন বহু প্রার্থীই। কিন্তু, বর্তমানে পার্শ্ব-শিক্ষক নিয়োগ হলেও পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যত হচ্ছে না বললেই চলেও। হলেও, দীর্ঘ সময় অন্তর হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমতাবস্থায় বাংলার বহু পড়ুয়াই উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি অর্জনের পর গৃহ শিক্ষকতার কাজ করছেন। কিন্তু, স্কুল শিক্ষকেরা তাদের রুটি-রুজির পথে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ। 

এই অভিযোগেই এদিন  সিউড়িতে মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সংগঠনের সদস্যরা। মিছিলে যোগ দেন গোটা জেলারই বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। এমনকী যে সমস্ত সরকারি স্কুলে শিক্ষকেরা এখনও গৃহ শিক্ষতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কাজ বন্ধের দাবিতে ডিআইকে ডেপুটেশনও দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাঁরা লাগাতার গৃহ শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। এতে ছাত্র কমছে চাকরি না পাওয়া শিক্ষকদের। কমছে আয়। একাধিকবার এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ার পরেই তাঁরা নেমেছেন অন্দোলনের রাস্তায়। এদিকে সরকারি আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একই কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা? সেই প্রশ্নও নতুন করে উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে। 

এদিনের আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সহ সভাপতি অলিকেন্দু চক্রবর্তী বলেন, আইনত ভাবে এই কাজ অপরাধ জানা সত্ত্বেও সরকারি স্কুল শিক্ষকেরা এই কাজ এখনও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন। সরাকরি আইনেি সাফ বলা হয়েছে কোনও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে স্কুল শিক্ষকেরা জড়িত থাকতে পারবেন না, এমনকী টিউশনির সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারবেন না। কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষকেরা লাগাতার স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে এই আইনি বাধা থাকা সত্ত্বেও এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্কুল শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকের মদতও রয়েছে। আমাদের ধারণা এর মধ্যে কোনও অসাধু চক্র জড়িত রয়েছে। আমরা এর বিহিত চাই। এর আগেও দুটি ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু তা চিঠি আকারেই থেকে গিয়েছে।”