Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: ‘সভাপতি ও প্রধান দুর্নীতিগ্রস্থ,’ ১০ পঞ্চায়েত সদস্যের ইস্তফার হুমকিতে তীব্র তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

Katwa: পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি পদ না ছাড়লে অন্য সদস্যরা দিলেন ইস্তফার হুমকি। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তাঁরা।

TMC: 'সভাপতি ও প্রধান দুর্নীতিগ্রস্থ,' ১০ পঞ্চায়েত সদস্যের ইস্তফার হুমকিতে তীব্র তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2022 | 6:01 PM

কাটোয়া: তীব্র হল তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি পদ না ছাড়লে অন্য সদস্যরা দিলেন ইস্তফার হুমকি। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তাঁরা। সোমবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও গুরুত্বই দেন না প্রধান। এমনকী সদস্যদের কথা কানেই তোলেন না পঞ্চায়েত প্রধান। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূল পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিক্ষুব্ধ দশ পঞ্চায়েত সদস্য।

এদিন কাটোয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে তাঁরা মুখ খুলতে চাননি। তবে দুই বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য জানান, “আলমপুর প্রধানের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে লিখিত জমা দিলাম। উনি সময় চেয়েছেন”। বিক্ষুব্ধ দশ পঞ্চায়েত সদস্যের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটোয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কাটোয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ সদস্য ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে দলের জেলা সভাপতির কাছে লিখিত জমা দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ১৬ সদস্যের আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ ভাবে তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত হলেও এখন ১০ সদস্যের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় ফাটল দেখা দিয়েছে দলে। এই সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি ও প্রধান নিজেদের মত অঞ্চল পরিচালনা করেন বলে এলাকার মানুষ পঞ্চায়েতের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা মঙ্গলকোট বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পঞ্চায়েতের পরিচালনা- সহ এলাকার সাংগঠনিক স্তরে দেখাশোনা করেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। আলমপুর পঞ্চায়েতের ১০ বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মমঙ্গলকোটের বিধায়কের কাছে দেখা করতে গেলে অপূর্ব চৌধুরী সময় নেই বলে তাঁদের জানিয়ে দেন। এর পর বিক্ষুব্ধ সদস্যরা কাটোয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলাম অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “কিছু বুঝতে পারছি না। ওরা কারও ইন্ধনে একথা বলছে”। দলের অঞ্চল সভাপতি নীলমণি বসু জানান, “যারা প্রধান বা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্থ। বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আজ তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।” কে দুর্নীতিগ্রস্থ আর কে নন, এই তরজায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: Bikaner-Guwahati Express Train Accident: কী ভাবে খুলল ট্রাকশন মোটর? খতিয়ে দেখতে দোমহনিতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা