Bardhaman: কালী পুজোর আগে তল্লাশি অভিযান পুলিশের, উদ্ধার প্রায় ৪০ কেজি শব্দবাজি
Crackers: শব্দবাজি রাখার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
বর্ধমান: সামনেই কালী পুজো। তার জেরে রমারমা বাজির বাজার। কিন্তু নিষিদ্ধ রয়েছে শব্দবাজির ব্যবহার। সেই কারণে কালী পুজোর আগেই নিষিদ্ধ শব্দ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালালো বর্ধমান থানার পুলিশ।
গতকাল রাতে বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার, রানিগঞ্জ বাজার সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাজির দোকানে অভিযান চালানো হয়। তার মধ্যে বর্ধমানের (Bardhaman) ভাতছালা এলাকার একটি দোকান থেকে ৪০ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার করে পুলিশ। শব্দবাজি রাখার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখান থেকে।
করোনা পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণ রুখতে গতবছর যে কোনও রকম বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt)। সেই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকেই জেলাজুড়ে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছিল।
এখনও চলছে করোনার (Corona) দাপট। তাই নিষিদ্ধ শব্দ বাজির বিক্রি রুখতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও শহরের বিভিন্ন বাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি মাত্র দোকান ছাড়া শব্দ বাজির বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও সফলতা পায়নি বর্ধমান থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে চুরিয়ে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। তাই শব্দ বাজির বিক্রি রুখতে এই ধরনের অভিযান চলবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্গাপুজোর সময় বাজি ফেটে মৃত্যু হয়েছিল বারাসতের বছর পাঁচের এক শিশুর। সপ্তমীর সকালে সেখানে বাজি ফাটাচ্ছিল বেশ কয়েকজন কিশোর ও খুদে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদের মধ্যে কয়েকজন বাচ্চা চকলেট বোমা ফাটাচ্ছিল। এদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। শুধু নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোই নয়। বাজি ফাটানোর সময় রীতিমতো রিসার্চ শুরু করে কয়েকটা বাচ্চা। কেউ ছুড়ে দূরে ফেলে, কেউ কৌটোর মধ্যে বাজি ফাটাচ্ছিল। এর মধ্যে একটি টিনের কৌটোর মধ্যে চকলেট বোমা রেখে ফাটাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি হয়।
বাজি ফাটার সঙ্গে সঙ্গে সশব্দে ফেটে ছিটকে যায় টিনের কৌটোটি। আর তা ছিটকে গিয়ে বিঁধে যায় বছর পাঁচেকের সায়ন সেনের গলাতেই! যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে শিশুটি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকে সে। হতভম্ব হয়ে যায় শিশুর সঙ্গীরা। তারা চিৎকার করে ওঠে। বাচ্চাদের হুড়োহুড়ি আর চিৎকারে ছুটে আসেন বড়রা। বাচ্চাদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালে দৌড় দেয় সবাই। বছর পাঁচের সায়ন সেনকে ভর্তি করা হয় বারাসত হাসপাতালে।
কিন্তু দূরন্ত ছেলেটির চিকিৎসার কোনও সুযোগই পেলেন না চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার আগেই মৃত্যু হয় সায়নের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নামে সারা এলাকায়।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। যেখানে শব্দবাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন, এমনকি কোনও দোকান বাজারে বিক্রি করা আইনত অপরাধ, সেখানে কোথা থেকে এই শিশুদের হাতে এত শব্দবাজি এল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া চকলেট বোমা ফাটানোর সময় অভিভাবকরা কেন শিশুগুলোকে বারণ করলেন না আগেভাগে, সেটাও প্রশ্নের।